অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় লেপ ও কাঁথা সেলাইয়ের ব্যস্ততা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা নভেম্বর ২০১৯ রাত ১১:৩১

remove_red_eye

১৪১৬

 

আকতারুল ইসলাম আকাশ : আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি মিষ্টি শীতল হাওয়া মানুষের শরীর একটু অসুস্থ জ্বর সর্দ্দি ও কাশি ভর করে মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর পরিক্রমায় শীত শুরু হয়েছে।
শহর-গঞ্জে এখন চলছে শীতের আমেজ। আধুনিকতা আর পরিবর্তনের হাওয়ায় মোটা কাঁথা ও নকশী কাঁথার কদর কমে গেছে। লেপের বদৌলতে রঙ-বেরঙের কম্বল এখন মানুষের ঘরে ঘরে। তবুও কদর কমেনি ঐতিহাসিক আর ঐতিহ্যের তুলো-রুইয়ের তৈরী লেপের। শীতল বাতাসের সাথে একটু একটু করে ভোর রাতে পড়তে শুরু করেছে ঘন কুয়াশা। রাতে ঘুমোতে কাঁথা কম্বল গায়ে জড়াতে হচ্ছে। ফলে শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ভোলার ধুনকরা।

বর্তমানে লেপের ব্যবহার কম থাকলেও শীত আগমনের সাথে সাথে বেড়েছে লেপ-তোষক ব্যবহার। সেই সাথে ব্যস্ততা ও বিক্রি বেড়েছে লেপ-তোষক-তুলোর দোকানীদের। কদর বেড়েছে কারিগর-ধনুকদের বাজার অবস্থা। শহরের বাজারসহ গ্রামে শতাধিক ধুনক পরিবার লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজ করছে। কেউ তুলো ধুনছে, কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে। ধুনকরা কেউ কেউ গ্রামে গিয়ে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি করছে। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ব্যাপক ক্রেতা সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। এক-একটি লেপের দাম ধরা হচ্ছে ১ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা। তোষকের দাম ধরা হচ্ছে ২ হাজার ১শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৫শ টাকা। যাদের এ লেপ তোষক কেনার টাকা নেই তারা ভিড় জমাচ্ছে পুরাতন শীতের কাপড়ের দোকানে। এক দেড়শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভালো মানের শীত কাপড়। কেউ আবার পাতলা কম্বল ক্রয় করছেন।

শহরের ঘোষ পট্রি বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী নির্দয় বাবু জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় লেপের কদর অনেকটা কমে গেছে। গ্রাম-গঞ্জে এখন লেপের পরিবর্তে কম্বল ব্যবহার বেড়েছে। ঐতিহ্যের প্রথা অনুসারে এখন শুধু বর-কণের বিয়েতে লেপ-তোষকের ব্যবহার হয়। শ্রমিক মূল্য, তুলার মূল্যসহ আনুষাঙ্গিক কাঁচা মালের মূল্য বেড়ে যাবার কারণে লেপ-তোষকের মূল্য বাড়াতে হয়েছে। বছরের অন্যান্য সময় তোষক-বালিশসহ টুকিটাকি কাজ থাকে। শীত মৌসুমেই তাদের বেশি কাজ হয়।
যাদের দোকান নেই সে ধুনকরা তুলা, কাপড় ও ধুনার নিয়ে ভোরে বেরিয়ে পড়ছে। সকাল থেকে দুপুর অবধি একটি বাড়িতে লেপ বা তোষক তৈরি করছে ও অর্ডার নিচ্ছে।
অপরদিকে শীতের আগমনে গ্রামের বধূরা কাঁথা সেলাই করছে। গরিব পরিবারগুলো পুরাতন কাঁথা জোড়াতালি দিতে ব্যস্ত। দোকানগুলোতে শুরু হয়েছে শীতের কাপড় বিক্রি।