অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতেই চালককে গলাকেটে হত্যা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩রা জানুয়ারী ২০২৪ রাত ০৯:১২

remove_red_eye

৩৩১

ইসরাফিল নাঈম, শশীভূষণ থেকে : ভোলার চরফ্যাসনে অটোরিকশা চালক হারুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বজলুরহমান দপ্তরীর ছেলে মো. মিজান ও ওই ওয়ার্ডের সাজাহানের ছেলে রিয়াজ এবং এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন বেপারীর ছেলে মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজ নামের তিন আসামীকে গ্রেপ্তার ও হত্যা কাজে ব্যবহারিত অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও পলাতক রয়েছে আরোও রুবেল নামের এক আসামী। গতকাল বুধবার বিকালে সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাসন সার্কেল) মেহেদী হাসান প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায় , ২০২৩ সনের ১৯ ডিসেম্বর চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের বাধের ঢাল থেকে হারুন নামের এক অটোচালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধারের দিন ২০ ডিসেম্বর নিহত হারুনের বাবা আবদুল মুনাফ পালোয়ান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীকে করে হত্যা মামলা দায়ের করলে আলোচিত মামলাটি তদন্তে নামেন চরফ্যাসন থানা পুলিশ । হত্যাকাণ্ডের একদিন পরে চরফ্যাসন থানা পুলিশ লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিছা গ্রাম থেকে নিহত হারুননের অটোটি উদ্ধার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের সনাক্ত করা যায়নি।
পরে ২০২৩ সনের ১৭ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের সহযোগিতায় ঢাকার কেরানীগনজ থেকে মো. মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানের দেয়া তথ্যমতে অপর আসামী মো. মো. রিয়াজকে ঢাকা সদরঘাট থেকে ও আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজকে বরিশালের হিজলা থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামী মিজানকে গ্রেপ্তারের পর পরই হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে অপর দুই আসামী মো. রিয়াজ ও আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে ভাগিনা রিয়াজকে গ্রেপ্তারের পর পৌর সভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুব ও আবদুর রশিদের পুকুর সংলগ্ন কলা বাগান থেকে অটোচালকে হত্যায় ব্যবহারিত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরোও জানায় , হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জনই চুরি ছিনতাইয়ে জড়িত । তাদের মূল উদ্দেশ্যে ছিলো চালকের অটোরিকশা ছিনতাই করা। ছিনতায়ে ব্যর্থ হয়ে অটো হাতিয়ে নিতেই অটো চালককে গলাকেটে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকাক্ততিমুলক জাবানবন্ধিতে এমন তথ্যদেন দেন তারা।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, হত্যাকাÐে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক রয়েছে রুবেল নামের অপর এক আসামী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।