অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ৫ম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই ডিসেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:৩৭

remove_red_eye

১৭৭৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এ গতকাল জমকালো আয়োজনে ৫ম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদায়ী সংবর্ধনা উপলক্ষে পলিটেকনিক ক্যাম্পাস ব্যানার ফেষ্টুন দিয়ে নানা সাজে সাজানো হয়। পলিটেকনিকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিলুফার ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন বিভাগে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।

দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিকের ৫ম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের দিনটিকে স্মৃতিময় করে রাখতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছিল ব্যানার, রঙিনভাবে সাজিয়ে তোলা হয় ক্যাম্পাস ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান আবেগময় কণ্ঠে বলেন, মানুষের জীবনের পুরোটা সময় বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত। একটা ধাপ পেরিয়ে আরেকটা ধাপে উঠতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। প্রতিটা ধাপের কষ্টগুলোকে অসহ্য মনে হয়, তবুও জীবনের কঠিন বাস্তবতায় সেগুলোকে পেরিয়ে সামনের পথে এগিয়ে চলতে হয়। স্কুল শেষে যখন একজন শিক্ষার্থী পলিটেকনিক লাইফে প্রবেশ করে, তখনই মূলত তার জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। সুন্দর একটি ভবিষ্যতের আশায় চিন্তামগ্ন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দেখতে দেখতে হারিয়ে যায় লাইফের অন্যতম সেরা সময়গুলো। যখন হুঁশ ফেরে তখন যেন গোধূলিলগ্ন, চাইলেও দিনের আলোকে তখন আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।’ –
আলোচনা সভায় বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, ব্যাংক ম্যানেজার আবুল কালাম, কৃষি অফিসার এবি এম মোস্তফা কামাল, সিভিল টেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার বেল্লাল নাফিজ, ইন্সট্রক্টর হামিদুর রহমান আজাদ, আসমা আক্তার, মোঃ মাকসুদুর রহমান,সমীর চন্দ্র রায়, ফারিয়া আক্তার।
বিদায়ী সংবর্ধনায় এক সময় ক্লাসে এসব শিক্ষকের লেকচার শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে ওঠা প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে আজ তাদের বক্তব্য যেন বড়ই মধুর লাগছিল। তারা যেন খুব করে চাইছিল এক সময়ের বিরক্তিময় এসব মুখ থেকে আরও কিছু মধুর বাণী শুনতে। কেননা আজকের পর থেকে চার বছরের পরিচিত এসব মুখগুলোর দেখা যে আর সচরাচর মিলবে না। তাই তো বিদায় বেলায় প্রতিটি শিক্ষাগুরুর বক্তব্য শুনে নিজেদের অজান্তেই চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিল। চার বছর আগে যেসব অচেনা মুখ বুকের মধ্যে লালিত স্বপ্ন নিয়ে ক্যাম্পাসে আগমন করেছিল, সময়ের নিষ্ঠুর বাস্তবতায় আজ তারা বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের বিদায় দিতে জুনিয়রদের মধ্যেও যেন অব্যক্ত কষ্ট ফুটে উঠছিল।