অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে অটোরিকশা চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে ডিসেম্বর ২০২৩ রাত ০৮:১৭

remove_red_eye

৩৬১

অটোরিকশা ছিনতাই

চরফ্যাসন ও শশীভূষণ প্রতিনিধি  : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মো. হারুন (১৮) নামের এক অটোরিকশা চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদপুর গ্রামের মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  অভিযোগ রয়েছে,অটোরিকশা চালককে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত হারুন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের আবদুল মুনাফ পালোয়ানের এক মাত্র ছেলে। হত্যাকন্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে চরফ্যাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


পুলিশ হারুনের বাবা আবদুল মুনাফ ও পুলিশ জানান, কিশোর হারুন পেশায় অটোচালক ছিলো। গত মঙ্গলবার দিনভর সে গাড়ি নিয়ে বের হননি। দিনে গাড়ি নিয়ে বের না হওয়ার কারন প্রসঙ্গে পরিবারকে জানায় রাতে একটি র্রির্জাভ ভাড়া আছে, সারা রাত গাড়ি চালতে হবে তাই দিনে গাড়ি নিয়ে বের হবেন না। মঙ্গলবার শেষ বিকালে যাত্রীদের ফোন কল পেয়ে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান তিনি।

বাবা আবদুল মুনাফ আরও জানান, রাত ১০ টার সময় ফোনে ছেলের সাথে কথা হয়েছিলো কিন্তু রাত ১২ টার সময় ছেলে হারুনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ধারনা ছিলো চার্জ শেষ হয়ে ফোনটি হয়তো বন্ধ হয়েছে। বুধবার সকালে পাড়া প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পান চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের বেড়িবাধের ঢালে তার ছেলের লাশ পরে আছে। এমন খবর শুনে তিনি গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।

চরফ্যাসন থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহত হারুনের অটোরিকশাটি নতুন ছিলো। যা ২/৩ মাস আগে নতুন কেনা হয়েছে।অটো রিকশাটি ছিনতাইয়ের জন্যই এ হত্যাকাÐ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। হত্যা কাÐের পর থেকেই অটো রিকশাটির সন্ধান মেলেনি। হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।