অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় প্রেমের ফাঁদে তরুণীকে ধর্ষণ,গ্রেফতার-১


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা নভেম্বর ২০১৯ রাত ১১:৪০

remove_red_eye

৯২৭

মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় গৃহবধূকে গণধর্ষনের ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মনপুরা থানায় এ ঘটনায় মামলা করা হলে সোমবার দুপুরে মো: রকিব সওদাগর (২৪)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধর্ষিতা ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দুপুরে লঞ্চযোগে পুলিশ হেফাজতে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কাঞ্চন মিয়ার ছেলে অভিযুক্ত আসামী মোঃ রাকিব সওদাগর (২৪) গত ছয় মাস পূর্বে মনপুরা মাষ্টার হাট নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই তরুণীর সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিাচয়ের সূত্র ধরে তাদের সাথে প্রেমের সর্ম্পকে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে রাতে রাকিব সওদাগর দেখা করতে গেলে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিন্তু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে। একইভাবে রাকিব সওদাগর দীর্ঘদিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসচিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর রবিবার রাতে রাকিব সওদাগর একই ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতে মেয়ের বাড়িতে গেলে তখন তরুনী চিৎকার দিলে রাকিব পালিয়ে যায়। এঘটনায় সোমবার সকাল ১০ টায় মনপুরা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক মোঃ রাকিব সওদাগরের বিরুদ্ধে ওই ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন । পরে দুপুর সাড়ে ১২ টায় মনপুরার সোনারচর বাড়ির পাশ থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামী রাকিবকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আদালত থেকে ওই যুবককে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ।

মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, মনপুরায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামী ধর্ষক রাকিব সওদাগরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব পেশায় শ্রমিক ও জেলের কাজ করে। পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক গৃহবধূ আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে মনপুরার জনতা বাজার স্পীডবোট যোগে যাওয়ার পথে চরের মধ্যে গণধর্ষনের শিকার হয় বলে মনপুরায় থানায় ৬জনকে আসামী করে মামলা করেন।