অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


বোরহানউদ্দিনে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মানউন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৪৮

remove_red_eye

২৭৯

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৈশোর,যুববান্ধব প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদের  ব্যাক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 শুক্রবার(১৫ডিসেম্বর)সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ও                দেউলা ইউনিয়নের ইউনিয়ন শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য,ইউনিয়ন এর স্বাস্থ্য  সেবাদানকারী,সাংবাদিকদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইয়ূথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ ও তারুণ্যের কন্ঠস্বর-প্ল্যাটফর্ম এর যৌথ আয়োজনে ও নারীপক্ষের অধিকার এখানে, এখনই (জঐজঘ-২) প্রকল্পের সহযোগীতায় এই সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার  ভাইস চেয়ারম্যান মো: রাসেল আহম্মেদ মিয়া।  
এসময় আলোচনায় অংশ নেয় সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,নাজিউর রহমান, ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ    কেন্দ্রের (এফডবিøউসি) কর্মকর্তা সুমাইয়া বেগম,মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম আকাশ সহ আরো অনেকেই এসময় বক্তব্য রাখেন।
 অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  তারুন্যের কন্ঠস্বর এর বোরহানউদ্দিন উপজেলার সম্মনয়কারী শামিম বাহার, মিম আক্তার।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আদিল হোসেন তপু।  
এসময় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ জুড়ে কিশোর-কিশোরী। কোন ধরনের প্রস্তুতি জ্ঞান ছাড়াই  কৈশোর কালের একটি বড় অংশ বাল্য বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক কিশোরী মেয়েরার নানা ধরনের জটিলতায় পড়ছে। তাই কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা সচেতনতায় আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে অভিভাবকদের ভ্রান্ত ধারনা দূর করে সারা জীবন যেন যেন এই কিশোর- কিশোরীরা ভালো থাকে সেই দিকে নজর দিতে হবে।
এসময় আয়োজকরা জানান,নারীপক্ষের অধিকার এখানে,এখনই প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী,তরুণ-তরুণী এবংসুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি,সঠিক তথ্যের সহজলভ্যতা ও সেবা গ্রহনে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করে থাকেন।
এর ফলে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা ও সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এসময় বক্তরা বলেন,বর্তমান সরকার  ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে “কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা চালু করেছে।কিন্তু প্রচার প্রচারনা না থাকায় কিশোর- কিশোরীরা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যায় না।সেই জায়গায় তারুন্যের কন্ঠস্বর বিভিন্ন স্কুলে ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে কিশোর- কিশোরীদের সেবা নিতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যাগ।এই ধরনের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করার দাবি জানান বক্তরা।