অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্ক না করে মনপুরায় চলছে ট্রলার-স্পীডবোট


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩রা এপ্রিল ২০২০ ভোর ০৪:৪৩

remove_red_eye

৮৬৬

মনপুরা প্রতিনিধি::  ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় সকল প্রকার নৌযানে যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে অবাধে যাত্রী পারাপার করছে ট্রলার ও স্পীডবোট মালিকরা। এতে করে এই উপকূলে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাতের আঁধারে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে মনপুরার রামনেওয়াজ তুলাতলী রুটে চলে ট্রলার ও স্পীডবোট। এই সমস্ত ট্রলার গুলোর মালিক হাতিয়ার লোকজন। এইসব ট্রলার ও স্পীডবোটে আসা যাত্রীরা সকালে হোন্ডাযোগে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার চলে যায়। সেখান থেকে স্পীডবোটযোগে চরফ্যাসন-লালমোহনসহ নিজস্ব গন্তব্যে চলে যায়। তবে জনতা বাজারের স্পীডবোটের মালিক মনপুরার।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দক্ষিণ সাকুচিয়ার জনতা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, একটি স্পীড বোটে যাত্রী ৫ জন নিয়ে চরফ্যাসনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ছবি তুলতে গেলে স্পীডবোটটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

হাজিরহাট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ট্রলারে যাত্রী পারাপার থামানো না গেলে এই উপকূলে করোনা মহামারী আকার ধারন করতে পারে। একই কথা বলে কবি ও সাংবাদিক সীমান্ত হেলাল।

এই ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ট্রলারের মালিকরা হাতিয়ার। তারপরও এই সমস্ত ট্রলার ও স্পীডবোট ধরতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

মনপুরা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মুঠোফোনে জানান, ট্রলারে যাত্রী পরিবহণ করা যাবেনা এমন কোন অফিশিয়াল নির্দেশ পাইনি।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বিষয়টি শুনার পর অভিযান পরিচালনা করেছি। ট্রলার ও স্পীডবোটে যাত্রী পারপার বন্ধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।