অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের ‘পেশাদারিত্বে ঘাটিত আছে’: শোয়েব মালিক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই নভেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৫:৫৮

remove_red_eye

২৩৮

ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলের তীব্র সমালোচনা করে দেশটির সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক দলটির ‘পেশাদারিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।  
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘ ভ্রমন (জনিত ক্লান্তি) একটি অজুহাত। পুরো বিশ্বই এখন ভ্রমন করছে। ভারতের সুচির দিকে তাকান। তাদের পেসাররা গতি ও সুইং হারায়নি। এটি পেশাদারিত্ব, যা আমাদের দলে দেখা যায়নি।’
মালিক বলেন,‘ আপনি তাদের(পাকিস্তান দল) প্রশ্ন করে দেখুন, অর্ধেক খেলোয়াড়ই জানে না কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে  হবে। বর্তমান ও অতীতের দিকে তাকালে দেখবেন সেখানে এমন কিছু ছিলনা যা আপনাকে ক্র্যাম্প (প্রতিবন্ধকতা) থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। আমরা ম্যাক্সওয়েলের ক্ষেত্রে দেখেছি তারা তাকে কিছু জেল মাখিয়ে দিয়েছে এবং তিনি গুরুতর অসুস্থতা নিয়েও খেলেছেন। ভ্রমন কোন বিষয় নয়। এটি একটি অজুহাত মাত্র।’
খেলোয়াড়দের কেন ক্র্যাম্প হয় এবং কেন এটি ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় , তারও ব্যাখা দিয়েছেন শোয়েব মালিক। সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বলেন,‘ পিএসএলে এক ম্যাচ পারফরম্যান্সের পর আপনি খেলোয়াড় বাছাই করেন। আপনি যখন জটিল  পরিস্থিতিতে যান তখন আপনার স্নায়ু শক্ত হয়ে যাবে এবং তারপর ক্র্যাম্প শুরু হবে। শুধুমাত্র ডিহাইড্রেশনের (পানিশুন্যতা) কারণে ক্র্যাম্প হয়না, চাপের কারণেও এটি হতে পারে।’  
সফরকারী (পাকিস্তানে) দলগুলো নিজেদের সেরা দলকে না পাঠালে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ‘বি’ দল মাঠে নামানোর জন্যও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিক। তিনি বলেন,‘ কোন দেশ যদি পাকিস্তান সফরকালে তাদের দ্বিতীয় মানের দল পাঠায় তাহলে পাকিস্তানও যেন দ্বিতীয় সারির দলকে মাঠে নামায়, সে বিষয়ে একটি নিয়ম চালু করা উচিৎ। এতে তাদের খেলার উন্নতি ঘটবে।’
বাবার আজমের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শোয়েব মালিক। তিনি বলেন,‘ আমরা শুধু ছোট দলগুলোর বিপক্ষেই জয়লাভ করেছি। বিগত তিন বছর ধরে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কিন্তু কোন উন্নতি নেই।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক বলেছেন, দল র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে আছে, সেই ভ্রান্ত মোহ নিয়েই আমরা বসে করছিলাম।

সুত্র বাসস