অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


"মানবতার ঘর" স্থাপন হোক সারাদেশে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা এপ্রিল ২০২০ রাত ০২:০১

remove_red_eye

১০০৭

 

 
 
এম শরীফ আহমেদ।।   
"মানবতার ঘর"  কথাটি শুনেই মনটা ভরে যায়। আর ভরে যাওয়ারই কথা। কারণ এটা অসহায় অবহেলিত মানুষের উপকারের ঘর। তবে এ ঘর সেই ঘর নয়।এই ঘর বসবাসের বা থাকার ঘর নয়।
 
এ ঘর দরিদ্র মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘর। যেখানে রয়েছে খাবার এবং পরিধান করার  প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।        
 
হত দরিদ্রদের খাদ্য ও বস্ত্রের যোগানে এই প্রথম বাংলাদেশের সিলেট নগরীতে  শুরু করলো এমন ‘মানবতার ঘর"। 
 
খাদ্য ও বস্ত্র নিয়ে কারো বাসায় নয়, রাখা থাকবে একটি ছোট্র ঘরে। এখানে রাখা খাদ্য ও কাপড় নিজ দায়িত্বে নিয়ে যেতে পারবে যেকোনো হত দরিদ্র লোক। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা) সিলেট বিভাগীয় শাখা। 
 
সত্যিই এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। করোনা ভাইরাসের মহামারীর জন্য সারাদেশ লকডাউন করে দেয়ায় নিম্মআয়ের অনেকে না খেয়ে জীবনধারণ করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগকে সারাদিয়ে  সারাদেশে স্থাপন করা হলে নিম্মআয়ের এবং অসহায় অবহেলিত মানুষেরা কিছুটা হলেও বেঁচে থাকতে পারবে।        
 
গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সিলেটের প্রথম মুসলমান হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন এর স্মৃতি বিজড়িত ২৪ নং ওয়ার্ডের হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের সম্মুখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
 
দেখা যায়, মসজিদের পাশে ষ্টীল দিয়ে নির্মাণ করা একটি ঘরে খাদ্য সামগ্রী রাখা রয়েছে একপাশে। অন্যপাশে রাখা রয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয়  সামগ্রী । 
 
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে রাখা থাকবে একেকটি খাদ্যের প্যাকেটে ২ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেয়াজ, আধা লিটার তেল, এক কেজি লবন ও ২ কেজি আলু। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় । যেকোন হত দরিদ্ররা নিয়ে যেতে পারবে এই " মানবতার   ঘর" থেকে।২৪ নং ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে সিলেট নগরীর সকল ওয়ার্ডে এটি চালু করা হবে।
 
অনেকেই জানেন, ২০১৫ সালে ইরানের উত্তর-পূর্বের শহর মাশাদে প্রথম "মানবতার দেয়াল" উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তি এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বরে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে৷
 
এই মানবতার ঘরটিকেও আমরা সারাদেশে স্থাপন করতে পারি। আমাদের একটু পরিশ্রম আর অর্থের বদৌলতে বদলে যেতে পারে পরিবার,সমাজ,দেশ। সকল বিত্তবান এবং উদ্যোগীদের কাছে আমার আহ্বান থাকবে যেনো সারাদেশে এমন মানবতার ঘর স্থাপন করা হয়।       
 
লেখকঃ এম শরীফ আহমেদ
(তরুণ উদ্যোক্তা, স্বেচ্ছাসেবী, লেখক ও সাংবাদিক)   




আরও...