অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


বিশ্বজুড়ে ব্যতিক্রমী যত যানবাহন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৪:০৭

remove_red_eye

২৯৯

অ্যারোপ্লেন, ট্রেন, বাস, জাহাজ, মোটরসাইকেল—যোগাযোগের এসব মাধ্যমের কোনোটিই আমাদের অচেনা নয়। যোগাযোগের এসব মাধ্যম আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। তবে এবার জানা যাক একেবারে অপ্রচলিত কিছু যানবাহন সম্পর্কে। বিশ্বের এমন কিছু বাহন আছে, যেগুলো শুধু ভিন্নধর্মীই নয়; অনেক মজারও।

কোকোট্যাক্সি, কিউবা
নব্বইয়ের দশকে কিউবায় আবির্ভাব ঘটেছিল কোকোট্যাক্সির। অটোরিকশার মায়াবী রূপ কোকোট্যাক্সি নব্বইয়ের দশকে কিউবায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের খুবই পছন্দ ছিল। এখনো কিউবার রাস্তায় আছে এর উপস্থিতি। বাহনটির নাম কেন কোকোট্যাক্সি? শুনে অবাক হবেন, নামটি এসেছে কোকোনাট অর্থাৎ নারিকেল থেকে। এটি দেখতে অনেকটা নারকেলের অর্ধাংশের মতো।

নরি, কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়ায় সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা হবে নরি অর্থাৎ বাঁশের ট্রেন। পুরোনো দিনগুলোতে এটি ছিল যোগাযোগের একটি সক্রিয় মাধ্যম। তবে এখন পর্যটক আকর্ষক হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। বাতামবাং নামক স্থানে এ বাঁশের ট্রেন আছে। এর গতি কিন্তু পায়ে হাঁটার চেয়ে বেশি নয়। ট্রেনটি হচ্ছে চাকার ঠিক ওপরে বাঁশের তৈরি একটি কাঠামো।

পার্টি বাইক, নেদারল্যান্ডস
চাকার ওপর একটি বার মনে হওয়া মজার পার্টি বাইক প্রথমে নেদারল্যান্ডসে চালু হয়। খুব তাড়াতাড়িই বিশ্বের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাহামাস, জার্মানি, নিউজিল্যান্ডসহ অনেক দেশে। ছোটখাটো ব্যক্তিগত পার্টির জন্য বন্ধুদের নিয়ে পার্টি বাইকে চড়ে বসতে পারেন। একই সঙ্গে পানীয় ও স্ন্যাকসের স্বাদ নিতে নিতে আশপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

ল্যান্ড রোভারস, ভারত
ভারতের মানেভানজিইয়াং-সান্দাকফু এলাকায় ঐতিহাসিক ল্যান্ড রোভার দুর্গম ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে এখনো চলছে। পঞ্চাশের দশকে ব্রিটিশ চা-বাগান মালিকরা ল্যান্ড রোভারের প্রথম মডেল ভারতবর্ষে চালু করেন। তারা বোঝাতে পেরেছিলেন, বাহনগুলো দার্জিলিংয়ের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার জন্য নির্ভরযোগ্য। ব্রিটিশরা চলে গেলেও রয়ে গেছে সেই ল্যান্ড রোভার।

হর্স অ্যান্ড বাগি রাইডস, যুক্তরাষ্ট্র
অ্যামিশ সম্প্রদায় বিশ্বাস করে খুব সাদামাটা ও আড়ম্বরহীন জীবনযাপনে। তাদের জীবন অনেকটাই আলাদা। এ কারণেই তাদের পছন্দের পরিবহন এখন পর্যন্ত হর্স অ্যান্ড বাগি রাইডস। অ্যামিশদের এ জীবনযাপনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে পেনসিলভেনিয়া, ওহিও এবং ইন্ডিয়ানার মতো জায়গায়।

মকোরো, বাতসোয়ানা
বাতসোয়ানার ওকোভাঙ্গো ডেল্টা ওয়াইল্ডলাইফ পার্কে মকোরো বোটে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে। গাছের গুঁড়ি কেটে বানানো মকোরোগুলো ক্যানোস ডিজাইনে তৈরি। প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে খ্যাত বিশ্বের সর্ববৃহৎ অভ্যন্তরীণ জলাভূমি ডেল্টার সৌন্দর্য দেখতে চাইলে একমাত্র বাহন হলো এই মকোরো।

করাকল, ভারত
দক্ষিণ ভারতের হাম্পি, হগেনাক্কাল, কইম্বাটোর প্রভৃতি জায়গায় বিপুল পরিমাণ গোলাকৃতি বাস্কেট বোট দেখতে পাবেন। তবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আদিম বোটটি দেখা যায়। এমনকি আধুনিক যুগেও স্থানীয়ভাবে যাতায়াতের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ বোট ব্যবহৃত হয় ওয়েলস, আয়ারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং ভারতে।

সুত্র জাগো

 





আরও...