অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


প্রিমিয়ার লিগ: শেফিল্ডকে আট গোল দিয়েছে নিউক্যাসল, সনের জোড়া গোলে পরাজয় এড়ালো আর্সেনাল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৪০

remove_red_eye

১১৬

প্রিমিয়ার লিগে শেফিল্ড শিল্ডকে গুনে গুনে আট গোল দিয়েছে নিউক্যাসল। রোববার ৮-০ গোলের বড় এই জয়ে তলানির দল শেফিল্ডের উপর পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়েছে সৌদি মালিকানাধীন ক্লাবটি। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে সন হেয়াং-মিনের জোড়া গোলে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টটেনহ্যাম। 
এবারের মৌসুমে প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে পরাজিত হয়ে নিউক্যাসল প্রত্যাশার চাপকে সামলে উঠতে পারেনি। কিন্তু কাল শেফিল্ডের বিরুদ্ধে দাপুটে পারফরমেন্সে এডি হাউয়ের দল কোন ধরনের ছাড় দেয়নি। 
প্রথমার্ধে ১৪ মিনিটে সময়ের ব্যবধানে সিন লংস্টাফ, ড্যান বার্ন ও সেভেন বোটম্যানের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বিরতির পর স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন ক্যালুম উইলসন, এন্থনি গরডন, মিগুয়েল আলমিরোন, ব্রুনো গুইমারায়েস ও আলেক্সান্দার ইসাক। প্রিমিয়ার লিগে কোন ম্যাচে আটজন ভিন্ন খেলোয়াড় গোল করার ও এর মধ্যে কোন আত্মঘাতি গোল না হবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ম্যাগপাইরা। 
ম্যাচ শেষে নিউক্যাসল বস এডি হাউ বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমরা সত্যিকার অর্থেই গোল করতে চেয়েছিলাম। তিন গোল নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। এই মানসিকতাই আমি দলের মধ্যে দেখতে চেয়েছি। 
তবে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৯ গোলের ব্যবধানের জয়ের থেকে এক গোল কম দিয়েছে নিউক্যাসল। বড় এই পরাজয়ে গোল ব্যবধানে টেবিলের তলানিতে চলে গেছে শেফিল্ড ইউনাউটেড। একইসাথে কোচ পল হেকিংবটমের ভবিষ্যতও পড়েছে শঙ্কার মুখে। 
আর্সেনালের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ৩১টি এ্যাওয়ে লিগ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে টটেনহ্যাম। কিন্তু কাল এমিরেটস স্টেডিয়ামে দুইবার পিছিয়ে পড়েও আনগে পোস্তেকোগ্লুর অধীনে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমান দিয়েছেন স্পার্সরা। 
বুকায়ো সাকার শট ডিফ্লেকটেড হয়ে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর আত্মঘাতি গোলে পরিনত হলে ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কিন্তু পোস্তেকোগ্লুর অধীনে সাত ম্যাচে পঞ্চমবারের মত এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফিরে আসে টটেনহ্যাম। জেমস ম্যাডিসনের ক্রস থেকে বিরতির তিন মিনিট আগে সন পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান। রোমেরোর আরো এক ভুলে আবারো এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এবার রোমেরোর হ্যান্ডবল থেকে প্রাপ্ত পেনাল্টিতে গোল করে ৫৪ মিনিটে গানার্সদের দ্বিতীয়বার লিড এনে দেন সাকা। ইনজুরির কারনে বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেননি রেকর্ড চুক্তিতে দলে আসা ডিক্লান রাইস। তার স্থানে খেলতে নামা জর্জিনহোকে টটেনহ্যামের দ্বিতীয় গোলের জন্য দায়ী করা হয়। ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার মিনিটখানেকের মধ্যে ম্যাডিসন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহোর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সনের দিকে বাড়িয়ে দেন। কোনাকুনি শটে সন স্পার্সদেও এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন। 
পোস্তেকোগ্লু বলেছেন, ‘আর্সেনাল শীর্ষ দল এবং আমাদের তাদেরকে প্রতিরোধ করতে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমরা সত্যিকারের সাহসিকতার প্রমান দিয়েছি।’
এই ড্রয়ে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে সমান ১৪ পয়েন্টসহ চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে টটেনহ্যাম ও আর্সেনাল। 
ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে পয়েন্টের ব্যবধান দুইয়ে নামিয়ে এনেছে লিভারপুল। গত মৌসুমে পঞ্চম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল রেডসরা। কিন্তু এবার আবারো নিজেদের লড়াইয়ে ফিরে আনার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা জার্গেন ক্লপের দল এখন পর্যন্ত নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছে। এ্যানফিল্ডে ১৬ মিনিটে স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন মোহাম্মদ সালাহ। মরোক্কান ডিফেন্ডার নায়েফ অগের্ড ডি বক্সের মধ্যে সালাহকে ফাউল করলে পেনাল্টি উপহার পায় লিভারপুল। জার্ড  বোয়েনের ডাইভিং হেডে বিরতির আগেই ম্যাচে ফিরে আসে হ্যামার্সরা। ৬০ মিনিটে ম্যাক এ্যালিস্টারের নিখুঁত পাসে ডারউইন নুনেজ গোল করে লিভারপুলকে আবারো এগিয়ে দেন। বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা দিয়োগো জোতা ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে আরো এক গোল করলে লিভারপুলের জয় নিশ্চিত হয়।
এ্যামেক্স স্টেডিয়ামে ফিচিয়ে পড়েও বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রাইটন। এক পয়েন্টের ব্যবধানে ব্রাইটন উত্তর লন্ডনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী টটনেহ্যাম ও আর্সেনালকে পিছনে ফেলেছে। 
এদিকে ঘরের মাঠে হোঁচট খেয়েছে চেলসি। ১০ জনের ব্লুজদের স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে এ্যাস্টন ভিলা। মরিসিও পোচেত্তিনোর অধীনে চেলসির দু:সময় যেন কাটছেই না। ৭৩ মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের শক্তিশালী শট আটকানোর সাধ্য ছিলনা চেলসি গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজের। এর আগে লুকাস ডিগনেকে বাজেভাবে ট্যাকেলের অপরাধে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগে বাধ্য হন মালো গুস্তো। এ কারনে ৫৮ মিনিটের পর থেকে চেলসিকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে। 
হতাশ পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘কি হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের সবাইকে অবগত থাকতে হবে। একইসাথে সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। এমন নয় যে ৭০ মিনিট পরে খেলোয়াড়রা ম্যাচ ছেড়ে দিচ্ছে। এমনকি একজন কম নিয়ে খেলেও শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচ ছাড়েনি।’

সুত্র বাসস