অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায়  আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু, ১০ লাখ টাকা ও দুইশত মে:টন চাল বরাদ্দ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ই নভেম্বর ২০১৯ রাত ১০:২৪

remove_red_eye

৬৯৭

হাসনাইন আহমেদ মুন্না : ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝর বুলবুল মোকাবেলায় ঝুকিপূর্ণ চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে সকলকে ৬৬৮টি সাইক্লোণ সেল্টারে নিয়ে আসা হবে বলে জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক জানান, যেহেতু ৭ নম্বর সর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া গবাদী পশু রাখার জন্য ৩৯টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে মোট ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। একইসাথে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহীনি কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। চাল বরাদ্দ হয়েছে ২০০ মে:টন। এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে। বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে খাবার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরো ত্রাণ দেওয়া হবে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী, শিশু, নারী ও বয়স্কদের সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বাহী মেজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ৮টি টিম গঠর করা হয়েছে।
মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষদের সকালে শুকনো খাবার ও দুপুর ও রাতে খিচুরি খেতে দেওয়া হবে। দূর্যোগে যাতে কোন প্রাণহানী না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। একইসাথে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে আভ্যন্তরীণ সকল রুটে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মাহামুদুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৃধা মো: মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আতাহার মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সূপার সাফিন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এ বি এম আকরাম হোসেন,ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি)ভোলা জেলার উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়াসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘুর্ণিঝর বুলবুল’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ও সাগড় ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠছে। অনেক জেলেদের নিরাপদে অবস্থান করতে দেখা গেছে।