অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭ই আশ্বিন ১৪৩০


প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অন্তরায় ও করণীয়


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১১:০৬

remove_red_eye

৭৪

মো. মোবাশ্বির হাসান শিপন : ২০১৪ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা সংক্রান্ত এক বিশেষ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন উচ্চ মানের শিক্ষক। তিনি বিশ্বের সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি বলেছিলেন, অস্ত্র নয় শিক্ষক বিনিয়োগ করুন। 

আপনারা জানেন শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ অর্থবহ ফলাফল বয়ে আনে। আপনার সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষার  জন্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী। তাদের কাছেই আপনার সন্তান যথাযথ প্রাথমিক শিক্ষায়  শিক্ষিত হয়ে উঠবে।  সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এখন প্রয়োজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার ভূমিকা নিশ্চিত করা। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড,শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনা। ব্যক্তি,সামাজিক রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টা প্রয়োজন তা হল শিক্ষা।

আর এই শিক্ষা অর্জনের মৌলিক ভিত্তি তৈরী স্থান হলো প্রাথমিক শিক্ষা। যা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো  থেকেই হাতে খড়ি হয়ে থাকে। আমরা শিক্ষিত সমাজের সবাই উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে থাকে অভিন্ন সিলেবাস আর কারিকুলামের মাধ্যমে। কিন্তু জীবনের বাস্তব ক্ষেত্রে গিয়েই এই মানুষ গুলো ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করে। জীবনের এই ব্যতিক্রমতটা তৈরী  যে মৌলিক ভূমিকা রাখে তা হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাদের শিক্ষার  দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আচার আচরন,কথাবার্তা কাজ ও শিক্ষা দেয়ার ব্যতিক্রমতার ফলাফলও ভবিষ্যৎ জীবনে ব্যতিক্রমতা তৈরী করে। সুতরাং একটি জাতিকে কীভাবে  তৈরী করতে চায় তা নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার  উপর। 

আমরা জানি, এক দশক আগেও বাংলাদেশে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীর হার ছিল খুব কম এবং  মেয়েদের হার ছিল আরও কম। শহরে স্কুলগামীর সংখ্যা কিছুটা বেশী হলেও গ্রাম গঞ্জে যা ছিল একেবারেই কম। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে যেমন শতভাগ উপস্থিতি প্রদান, অভিভাবকদের সচেতন করতে সরকারের নানামুখী 

পদক্ষেপ, শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা, সময়মত বই বিতরণ, বিনা  বেতনে শিক্ষা, ফ্রি টিফিনের ব্যবস্থা, বাল্য বিবাহ রোধ প্রভৃতি কারণে স্কুলগামী ছেলেমেয়ের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি শিক্ষার হারও প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। 

দূঃখের ব্যাপার হলো শিক্ষার  হার বাড়াসহ শিক্ষিত  সমাজের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেলেও আমরা তাদেরকে নৈতিক 

শিক্ষায়  শিক্ষিত করে- তাঁদের মাঝে দেশ প্রেম জাগ্রত করে দিতে পারছি না। শিক্ষার পাশাপাশি ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য বুঝিয়ে নিজের জীবনে তা বাস্তবায়নের কতটুকু প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করাতে পেরেছি। যে ছেলেটি প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বদ্যিালয় জীবনে এসে সন্ত্রাস, মাদকাসক্ত, জঙ্গীর মত আত্নঘাতী জীবনের কুফলতা তুলে ধরতে পেরেছি।

প্রাথমিক শিক্ষা জীবনে শিক্ষকের সম্মান মর্যাদাবোধটুকু তাঁর অন্তরে গেঁথে দিতে পেরেছি নাকি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে গিয়ে 

শিক্ষকের  উপর হাত তুলে উল্লাস করাকেই ছাত্রত্ব বলাটা শিখিয়েছি। চাকরী জীবনে গিয়ে নিজের দায়িত্বানুভুতি  থেকে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত করে নাকি ঘুষ দুর্নীতির মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে জাতির ধবংসের জন্য নিজের পকেট ভারী করে থাকে। একজন  সেবা প্রাপ্তির কাছে কেমন ব্যবহার করতে হবে তা কতটুকু শিখাতে  পেরেছি। সরকারের এত সুযোগ সুবিধা ও আধুনিকায়নের যুগেও আমার মনে হয় এসব প্রশ্নের অধিকাংশরাই বলবেন আমরা চেষ্টা করেছি; বাস্তবায়ন করতে পারিনি। 

বিশ্বের অন্যান্য  দেশের সাথে তুলনা করলে  দেখা যায়, তাদের শিশু কিশোররা প্রাথমিক জীবনে যা অর্জন করে আমরা প্রাথমিক পর্যায়েও তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। কারণ মূল ভিত্তি  তৈরীর স্থান হলো প্রাথমিক 

শিক্ষকের ব্যবস্থা সেখানেই তা আমরা নয়-ছয় দিয়ে পার করে তাদেরকে পরবর্তী জীবনকে ধবংস করে দিচ্ছি। পৃথিবীর সমৃদ্ধ দেশগুলোতে একজন কিশোর তার টিন এইজ বয়স থেকে কর্মমূখী হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হয় আর দেশের জন্য নিজেকে সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুত করে রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষার   হার যত বাড়ছে বেকারত্ব ততই গ্রাস করছে। কর্মমূখী শিক্ষ থেকে দূরে তাদেরকে পুঁথিগত বিদ্যায় ডুবিয়ে রেখে 

শিক্ষকের  জীবন সমাপ্ত করে বেকারত্বের অভিশাপে বুকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। 

জীবনের শুরু থেকেই শিশুরা কীভাবে তাদের প্রাত্যাহিক জীবন ব্যয় করতে হবে,কোনটা সঠিক নয়,স্কুলের নিয়ানুবর্তিতা,রাস্তায় চলাচলের প্রচলিত নিয়ম সম্পর্কে সর্বোচ্চ সচেতন থাকে। রাস্তা পারাপারের সময় কোন চিত্র ব্যবহার করলে কীভাবে চলতে হবে তা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা নিয়েই বিদেশের শিশুরা পথ চলে। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাস্তর  একটু তুলনা করলে দেখা যাবে শিশুরা দূরের কথা এই নিয়মগুলো আমরাদের শিক্ষকরা জানেন না। তাহলে একটা মৌলিক শিক্ষা তাঁদের অজানা থেকে যাচ্ছে। যে সময়টা মূল ভিত্তি তৈরীর তখন তাঁকে কী পুঁজি দিয়ে প্রাথমিক জীবন থেকে বিদায় দিচ্ছি এ আমলে নিতে হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকার এত গুরুত্ব প্রদান করার পরেও এই অবস্থার পেছনে যেসব সমস্যা মনে করি তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করছি: 

১. নিজের দায়িত্ব পরিপূর্নভাবে পালন না করা: আমরা যারা প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত তাদের মনে রাখতে হবে আমাদের শুধু  পেশাগত দায়িত্ব পালনই আমাদের কাজ না বরং একজন সন্তানকে গড়ার জন্য যেরকম চতুর্মুখী চিন্তা করে সন্তানের ভবিষ্যত গড়তে র্পূনাঙ্গ দায়িত্ব পালন করা। 

 ২. নৈতিকতা শিক্ষা না দেয়া: 

প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের সিলেবাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সেখানে নৈতিক শিক্ষা  বা নীতি কথার চেয়ে তাত্ত্বিক কথা অনেক বেশী যা বাচ্চারা মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাশের জন্য। আবার পরক্ষণে তা  ভুলেও যায়। আচরণগত শিক্ষা দেয়া হয় খুবই কম, এমনকি প্রতিদিন লাইনে দাঁড় করিয়ে যে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় তার অর্থ হৃদয় দিয়ে কতজন ছাত্র-ছাত্রী অনুভব করে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। 

(৩) মান সম্পন্ন শিক্ষকের অভাব: শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই যেমন শিক্ষিত হওয়া যায়না তেমনি শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আর যাই হোক শিক্ষকতা পেশায় আসা ঠিকনা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো আমরা অনেকে এই মানষিকতার হয়ে গেছি। বলতে দ্বিধা  নেই, যারা মানুষ গড়ার কারিগর, তাঁদের অনেকের নৈতিক মান নিয়ে অনেক খবর আমাদের নজরে আসে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখানোর মহান দায়িত্ব যাদের তারা শিক্ষকতা নামক পেশাটিকে নেহায়েতই আয়  রোজগারের একটি উপায় হিসেবে  বেছে নিচ্ছেন বা নিয়েছেন। অনেক  ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষকতা করার  যোগ্যতা সর্ম্পকেই প্রশ্ন চলে আসে। নিজেই যদি এসব বিষয়ে অজ্ঞ থাকে তাহলে  কোমলমতিদের কী শিক্ষা দিবে।

অতিমাত্রায় রাজনৈতিক হিসেবে উপস্থাপনঃ কিছু মানুষ জগতে সবসময় থাকবে যারা নিজেদের অযোগ্যতাকে ঢাকতে সবসময় প্রভাব বিস্তারকারী ব্যাক্তি বা গোষ্টির তাবেদারিতে ব্যস্ত থাকে বা যখন  যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে তাদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকায় নিজের দায়িত্বটুকুও ভুলে যায়। ফলে মহান পেশাগুলোতে ব্যাপকহারে দায়িত্বহীনতার ব্যাপার ঘটে। 

(৪) শিক্ষকের অপ্রতুলতা: 

 বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকের যে অনুপাত তা মানসম্মত 

শিক্ষার জন্য  মোটেও উপযোগী নয়। একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য  যে জনবল প্রয়োজন  সেই তুলনায় সংখ্যাটা অপ্রতুল। যার কারনে কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছার চিন্তা থাকলেও সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় পিছু হটতে হয়। 

(ঘ) শিক্ষার পরিবেশের অভাব:

আদর্শবান জাতি গঠনের লক্ষ্যই সুস্থমেধা বিকাশ উপযোগী যে ধরনের  শ্রেণিকক্ষ দরকার তা অনেক বিদ্যালয়েই অনুপস্থিত। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে  দেখা  গেছে, অনেক বিদ্যালয়ে বসার যথাযথ  বেঞ্চ  নেই,টয়লেট  নেই, খেলার সামগ্রী  নেই। যা প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অত্যন্ত জরুরী। 

(ঙ) দারিদ্র:

বাংলাদেশে এখনও অনেক পরিবার দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। এসব পরিবারের মা-বাবারা মনে করেন তার সন্তান স্কুলে গিয়ে যে বৃত্তি পাবেন তার  চেয়ে অনেক  বেশি আয় করতে পারবে বাসাবাড়ি বা বাইরে অন্য কথাও কাজ করে। ফলে তারা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের চেয়ে জীবন জীবিকার কাজে নিয়োজিত করতেই বেশি পছন্দ করে। শিক্ষার সুদূরপ্রসারী ফলাফল সম্পর্কে তাদের ধারণাও একবারেই কম।

(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটির দুর্বলতা:

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি অন্যতম দায়িত্ব হলো শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এসএমসির অনেক সদস্যই শিক্ষার গুরুত্ব বা গুনগত মান বৃদ্ধির বিষয়ে  মোটেও সচেতন নয়। অনেকেই এসএমসির সদস্য হওয়াকে বা সভাপতি হওয়ার বিষয়টিকে সন্মান বৃদ্ধির/ক্ষমতা-আধিপত্য বৃদ্ধির/আয় রোজগার বৃদ্ধির উপায় হিসেবে  বেছে নিয়েছেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শকে বিবেচনায় না এনে তাঁর শিক্ষাগত  যোগ্যতা এবং শিক্ষার প্রসারে তাঁর অবদানকে বিবেচনা করার জন্য বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে । 

(ছ) অভিভাবকদের অসচেতনতা 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ  যেহেতু গ্রামে বসবাস করে এবং তারা কৃষি কাজে জড়িত, স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাদের মত কৃষক বানাতে চায়। তাদের অনেকের ধারণা, পড়ালেখা করে গরীব মানুষের সন্তানদের চাকরি পাওয়া কঠিন। তা ছাড়া  শিক্ষার গুরুত্ব বা সুদূর প্রসারী ফল নিয়ে চিন্তা করার মত কল্পনা শক্তিও তাদের নেই। 

সামাজিক প্রতিবন্ধকতা: একজন সন্তানকে মানুষ হিসেবে গঠন করতে হলে অনেক সময় কঠোরতা অবলম্বন করতে হয় সেখানে এ কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে অভিাভাবক ও সমাজের অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় বিধায় অনেক সময় এই ধরনের দায়িত্ব  কেউ নিতে চায়না। 

প্রাথমিক শিক্ষাকে নৈতিকতা সম্পন্ন ও  মান উন্নয়নে করণীয়: 

ক) শুধু সিলেবাসভুক্ত পড়াশুনা না করিয়ে আদর্শ ভিত্তিক নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন মানসিকতা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে। খ) চার বছর বয়সে স্কুলে গমন বাধ্যতামূলক করে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শুধু নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। ভাল-মন্দ, নিয়ম-অনিয়ম, প্রাত্যাহিক জীবনে করণীয় গুলো হাতে ধরিয়ে শিক্ষা দেয়া। ৭ বছর বয়সের  হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান শুরু করতে হবে। শুধুমাত্র মুখস্থ বিদ্যার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ না করা।পর্যাপ্ত পরিমান  খেলাধুলা ও শিশুদের মনের মত বিনোদনের ব্যবস্থা করা। মাতৃপিতৃ মমতায় তাদের লালন করা। বিদ্যালয়কে পরিপাটি ও পারিবারিক বাসস্থানের মত শিশুবান্ধব হিসেবে গড়ে  তোলা। পাঠ্যপুস্তকের পাঠাপাশি নিয়ানুবর্তিতা শিক্ষার  ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা। শিক্ষক হিসেবে নিজেকে  যোগ্যতম হিসেবে গড়ে তুলে শিক্ষাদান করা। 

গ) শিক্ষক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে  মেধাবী, চরিত্রবান ও  যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে।

ঘ)শিক্ষকদের পৃথক  বেতন কাঠামো করে তাদের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে।

ঙ) ছাত্র- শিক্ষক  অনুপাত কমিয়ে আনতে হবে।

চ) শিক্ষার ব্যাপারে অভিভাবকদের আরও  বেশী সচেতন করতে হবে।

ছ) প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাসে অন্তত ১ দিন একজন সফল ব্যক্তিত্বকে দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের  কে ভবিষ্যৎ  তৈরির জন্য স্বপ্ন   দেখাতে হবে এবং জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। 

জ) সর্বোপরি, সুস্থ  মেধা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন সরকারের প¶ থেকে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিশেষে আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই, বিনয়ী, সৎ ও  যোগ্যতা সম্পন্ন একটি জাতি গঠনের জন্য  যে সব অন্তরায় রয়েছে  সেগুলো অবশ্যই একদিন দূর হবে এবং  যে স্বপ্ন-সাধ নিয়ে এই জাতির পথ চলা শুরু হয়েছিল তা অচিরেই পূর্ণ হবে। আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্ববোধ এবং  সেবাধর্মী একটি জাতি গঠনে সবাই কাজ করব। নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন,  দেশপ্রেম   জাগ্রত করে কর্মসূখী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিক স্তর থেকে মূল ভিত্তি রচনা করে দেব। 

আসুননা সবাই মিলে সরকারি স্কুলগুলোকে আমাদের পছন্দের মতো করে গড়ে তুলি। কেবল সরকার করে দেবে এই আশায় না থেকে সামাজিক উদ্যোগ থেকেই এটা করা সম্ভব। পাশাপাশি সন্তানের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের উৎসাহিত করা ও নিজ সন্তানের প্রতি যত্নবান হই। 

লেখক: শিক্ষক,সংগঠক।





ভোলায় নুতন প্রযুক্তিগত রিংস্লাব লেট্রিন কার্যক্রমের উদ্বোধন

ভোলায় নুতন প্রযুক্তিগত রিংস্লাব লেট্রিন কার্যক্রমের উদ্বোধন

লালমোহনে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

লালমোহনে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু সংকট এড়াতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু সংকট এড়াতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সরকার সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী

সরকার সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন পাঠাবে

যুক্তরাষ্ট্র ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন পাঠাবে

জলবায়ু অভিবাসীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উপর গুরুত্বারোপ

জলবায়ু অভিবাসীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উপর গুরুত্বারোপ

ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন স্থাপনের আহ্বান ড. মোমেনের

ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন স্থাপনের আহ্বান ড. মোমেনের

সালাহউদ্দিন জাকীর প্রয়াণ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অপূরণীয় ক্ষতি : তথ্যমন্ত্রী

সালাহউদ্দিন জাকীর প্রয়াণ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অপূরণীয় ক্ষতি : তথ্যমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সাক্ষাৎ

আরও...