অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


মাঠ কর্মী ও সতীর্থদের প্রশংসায় রোহিত, হতাশ বাবর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩৫

remove_red_eye

১৬৩

গতরাতে এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড ২২৮ রানের বিশাল জয় পায় ভারত। বৃষ্টির কারনে দু’দিনে অনুষ্ঠিত  এ ম্যাচে ভারতের জয়ে বড় অবদান রাখেন দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল ও স্পিনার কুলদীপ যাদব। তবে এ ম্যাচটি সম্পন্ন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মাঠ কর্মীরা। এজন্য ম্যাচ শেষে সতীর্থদের পাশাপাশি মাঠ কর্মীদেরও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ভারতের কাছে লজ্জা হারে হতাশ পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, দলের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে কোহলি-রাহুল।
বৃষ্টির কারনে গ্রুপ পর্বের মত সুপার ফোরেও ভারত-পাকিস্তান মহারণ ভেস্তে যাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকায় ম্যাচটি রিজার্ভ ডে রাখার সিদ্বান্ত নেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর পর বৃষ্টির কারনে নির্ধারিত দিনে খেলা হয় ২৪ দশমিক ১ ওভার। বাধ্য হয়ে রিজার্ভ ডে’তে গড়ায় ম্যাচটি। রিজার্ভ ডে’তেই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়।
প্রচন্ড বৃষ্টির  মধ্যেও মাঠকে খেলার উপযোগী করতে নিজেদের সেরাটা নিঙরে দিয়েছেন কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের মাঠ কর্মীরা। তাই ম্যাচ শেষে মাঠ কর্মীদের প্রশংসা করতে ভুলে যাননি রোহিত। তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকেই খেলার মধ্যে ছিল না। মাঠ কর্মীরা না থাকলে, এটি করা সম্ভব হতো না। আমি জানি, এই দু’দিনে এমন কাজ করা সত্যিই খুব কঠিন ছিল। মাঠ কর্মীদের অনেক ধন্যবাদ। আমরা দেখেছি, এটা মোটেও সহজ কাজ ছিলো না। মাঠের চারপাশে থাকা মানুষগুলো, ম্যাচটি সম্পন্ন করতে চেয়েছিলো। এজন্য মাঠ কর্মীদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
ম্যাচের প্রথম দিন ২৪ দশমিক ১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছিলো ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৫৬ এবং শুভমান গিল ৫৮ রানে আউট হয়েছিলেন। ম্যাচটি রিজার্ভ ডে’তে গড়ানোর আগে কোহলি ৮ এবং রাহুল ১৭ রানে অপরাাজিত ছিলেন।
রিজার্ভ ডে’তে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন কোহলি ও রাহুল। দু’জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে  ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রান ভারতের। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে বেশ কিছু রেকর্ডও স্পর্শ করেন কোহলি। অন্যপ্রান্তে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেন রাহুল। তৃতীয় উইকেটে কোহলি-রাহুরের ১৯৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৩৩ রান জুটি পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ।
কোহলি-রাহুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন রোহিত, ‘ম্যাচ শুরুর দিন থেকেই আমাদের ব্যাটিং পারফরমেন্স দুর্দান্ত ছিলো। আমরা যখন ব্যাটিং শুরু করেছি, আমরা জানতাম উইকেট ভাল ছিলো। বৃষ্টি বাঁধার সাথে মানিয়ে নিতে হতো। মিডল অর্ডারে আমাদের দু’জন অভিজ্ঞ ব্যাটার ছিলো। আমরা জানতাম, তারা নিজেদের সেরাটা দিবে এবং পরবর্তীতে অনবদ্য ইনিংস খেলেছে কোহলি ও রাহুল।’
ভারতের ৩৫৬ রানের জবাবে স্পিনার কুলদীপের ঘুর্ণিতে পড়ে ৩২ ওভারে ১২৮ গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কুলদীপ ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন। কুলদীপের সাথে পেসার জসপ্রিত বুমরাহর পারফরমেন্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রোহিত, ‘কুলদীপ অসাধারণ বোলিং করেছে। বুমরাহও ভাল বল করেছে। দু’দিকেই বল সুইং করেছে। ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে ৮-১৫ মাস সত্যিই পরিশ্রম করেছে সে। ফর্মে থাকলে বুমরাহর বোলিং দেখতে সত্যিই ভালো লাগে।’
পক্ষান্তরে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই বিবর্ণ  ছিলো পাকিস্তান। ম্যাচের কোন সময়ই ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি পাকরা। এমন  অসহায় আত্মসমর্পনে লজ্জার হারে হতাশ বাবর বলেন, ‘আবহাওয়া তো আমাদের হাতে নেই। তবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে হেরেছি। আমাদের বোলারদের বিপক্ষে তাদের পরিকল্পনা ছিল। কোহলি-রাহুল ধরে রেখে দারুণ ফিনিশ করেছে।’
ভারতের বোলিং নিয়ে বাবর বলেন, ‘প্রথম ১০ ওভারে দুই দিকেই সুইং করে ভালো বোলিং করেছে বুমরাহ-সিরাজ। আমরাও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। বড় জুটি গড়তে পারিনি।’

সুত্র বাসস