অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


লালমোহনে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক হয়ারানীর অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২শে মার্চ ২০২০ রাত ০৩:৩২

remove_red_eye

৪০৫



লালমোহন  প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক হয়রানীর শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মিথ্যা মামলায় আদালত জামিন দিলে পূণরায় মামলার জন্য নিজেদের ঘরে ভাঙচুর-লুটপাটের নাটক সাজায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তানজিলা ও তার পরিবার। চরভূতা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামাল মিঝির প্ররোচনায় এসব চক্রান্ত বলে শনিবার দুপুরে লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী রাজিব উদ্দিন।
রাজিবের পিতা উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম হানিফ মিয়া। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার ছোট ছেলে রাজিব উদ্দিন ২০১৮ সালে চরভূতা ইউনিয়নের তালপাতার হাট এলাকার হারুন অর রশিদের মেয়ে তানজিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হলে ও তানজিলার পর পুরুষের সাথে সর্ম্পক থাকায় ২০১৯ সালের ২৮ মে তানজিলাকে তালাক দেয় রাজিব। তালাক পেয়ে রাজিব ও তার পরিবারকে ফাঁসাতে কামাল মেম্বারের প্ররোচনায় তানজিলা ভোলা কোর্টে রাজিব, তার বড় ভাই জিয়া ও মা জাহানারার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় আদালতে হাজির হলে গত ১৬ মার্চ আদালত আসামীদের জামিন দেন। রাজিব ও তার ভাই জামিনে এলে পূণরায় তাদের ফাঁসাতে নাটক করে তানজিলা ও তার পরিবার। ওইদিন রাতে তারা নিজেরা ঘরের মালামাল এলোমেলো করে কতিপয় সাংবাদিক ডেকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় রাজিব ও জিয়ার বিরুদ্ধে। এমনকি লালমোহন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ঘটনা মিথ্যা প্রমান পেয়ে মামলা নেয়নি। এ ঘটনায় রাজিবের বড় বোন সুরমা বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তানজিলা ও তার পরিবার পূণরায় ভোলা আদালতে মিথ্যা মামলার পায়তারা চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এব্যাপারে রাজিব তানজিলার হয়রানী থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।