অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন সহকারী শিক্ষক দম্পতি


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ০৯:৫৯

remove_red_eye

৩৪৭

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক দম্পতি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন রকম ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এজন্য তাদেরকে সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
অভিযোগ সুত্রে স্কুলে গিয়ে দেখাযায়, ৮৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলপনা খাতুন (লাবণ্য) ও চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির উদ্দিন নিজ নিজ স্কুলে অনুপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন। অভিযুক্ত দুই সহকারী শিক্ষক সম্পর্কে স্বামী -স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ওই দুই সহকারী শিক্ষক দম্পতি সুবিধা মতো সময়ে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। কোন রকম ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। ২৯ আগস্ট পরিক্ষা চলাকালীন ৮৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখাযায় সহকারী শিক্ষক আলপনা খাতুন (লাবণ্য) ৩ দিন অনুপস্থিত। এসময় ওই শিক্ষিকার স্বামী চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির উদ্দিন ওই স্কুলে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, স্ত্রী আলপনার পরিবর্তে স্বামী মনির উদ্দিন নিজ কর্মস্থল চরজহিরউদ্দিন না গিয়ে স্ত্রী র স্কুলে সময় দেন।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, মেয়ে অসুস্থ্য তাই আলপনা খাতুন আসতে পারেনি, ৩দিনে ছুটি নিয়েছে। আপনি এখানে কি করেন, আপনার স্কুল কিভাবে চলে জানতে চাইলে বলেন, স্ত্রী র অনুপস্থিতিতে আমি দায়িত্ব পালন করছি।
প্রধান শিক্ষক আবু তাহের সহকারী শিক্ষিকা আলপনা খাতুনের লিখিত কোন আবেদন দেখাতে পারেননি। অন্য স্কুলের শিক্ষক আপনার স্কুলে কেনো এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,
আলপনা খাতুন অসুস্থ্য, তাই তার স্বামী মনির উদ্দিন মাঝে মধ্যে আমার স্কুলে ক্লাস করেন।
চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির উদ্দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকেন। চরের স্কুলের শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আঃ মান্নান বলেন,আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা বা স্কুল পরিবর্তন করার সুযোগ নাই। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।