অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


নকল পণ্য ঠেকাবে হলোগ্রাফিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ট্যাগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ১০:০১

remove_red_eye

২০৩

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : নকল পণ্য ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বাড়লে তা নকল করে বাজারজাত করছে প্রতারক চক্র। এতে যেমন পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়ে তেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন ভোক্তাগন। বিশেষ করে ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও প্যাকেটজাত দ্রব্য নকল হচ্ছে বেশি। এসব পণ্য নকল হওয়া ঠেকাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে উদ্ভাবনী চিন্তা শেয়ার করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক। সে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, নকল পণ্য ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। যার মধ্যে অন্যতম হলোগ্রাফিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ট্যাগ। এই ট্যাগটিতে কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা সম্মিলিত একটি কিউআর কোড থাকবে। এটি মূলত পণ্যের উৎপাদনস্থল থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ চেইন চক্রে নিরাপত্তার একটি স্তর যুক্ত করে এবং নকল পণ্যগুলোকে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে বাঁধা দেয়। স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তা তাৎক্ষণিক পণ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারে। এতে কোম্পানির ব্রান্ডের মূল্য বৃদ্ধির সাথে গ্রাহকদের আস্থা ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।

ওই যুবক আরো বলেন, নকল পণ্যের উৎপাদন বন্ধ না করা গেলে বাংলাদেশের ইকোনোমি নিম্মমুখী হয়ে যাবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে। সবচেয়ে বেশি এর প্রভাব পড়বে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপর। উৎপাদনশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। কেননা, তাদের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তারা গ্রহণ করে। আমি গত এক বছর ধরে এমন একটি সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অর্থের অভাবে আমার পরিকল্পনাটি বাস্তবে রুপান্তর করতে পারিনি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে পুরো সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারবো।