বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১শে আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
২১
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ অপরিহার্য।
এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির বিদায়ী সংবর্ধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে যাচ্ছেন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।
সে সময় সুপ্রিমকোর্ট অবকাশকালীন ছুটিতে থাকবে। তাই আজই প্রধান বিচারপতির বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস। প্রথা অনুসারে আজ তাকে আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে এটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি (সুপ্রিমকোর্ট বার) বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা যোগ দেন। অনুষ্ঠানে এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি মোমতাজউদ্দিন ফকির প্রধান বিচারপতির কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ প্রজাতন্ত্রের হৃৎপিন্ড। রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দক্ষতার চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আর কোন উপযুক্ত পরীক্ষা নেই। একটি জাতির জনগণ শাসন বিভাগ বা আইন বিভাগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে, কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারালে সে জাতিকে খারাপ দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক বিধান দিয়ে সর্বপ্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে মজবুত দেয়াল দিয়ে রক্ষা করার দায়িত্ব বিচারক, আইনজীবী এবং রাষ্ট্রের প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের। সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সর্বনাশা দিনের জন্য প্রতিটি নাগরিকের অপেক্ষা করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজনৈতিক বিভক্তি রাজপথ অতিক্রম করে বিচারালয় অভিমুখে ধাবিত হলে সেটা বিচারলয়ের জন্য মঙ্গলজনক হয় না। আমাদের মনে রাখতে হবে, আইনজীবীদের বিভক্তি ও মতভেদ এবং তার প্রতিক্রিয়া বিচারালয়কে ক্ষতিগ্রস্থ করে। রাজনৈতিক মতাদর্শ রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়ন করলে এবং বিচারলয়কে নিরাপদ দূরত্বে রাখলে বিচার বিভাগ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধান প্রণেতারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন-সে স্বাধীনতা কার্যকর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গের এবং প্রতিটি নাগরিকের। সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ৭১' এর রক্ত বৃথা যাবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ বীরত্ব এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই দেশ, এই বিচারালয় পেয়েছি। ৭১'এ জাতি চরম ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে। আমাদের জাতীয় দায়িত্ব হলো সর্বক্ষেত্রে সেই দেশকে এগিয়ে নেয়া। আমরা ব্যর্থ হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের প্রতিটি আইনে মানবিকতার স্পর্শ থাকতে হবে। আইন যদি দরিদ্রকে পিষে দেয় আর ধনী ব্যক্তি যদি আইনকে পিষে দেয় তাহলে রাষ্ট্র এবং বিচার বিভাগ সঠিকভাবে চলছে-এটা কোনভাবেই বলা যাবে না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ অপরিহার্য। গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা আর বিচারকদের রাজনৈতিকভাবে বয়ে যাওয়া হাওয়া থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে, সংবিধান, আইন নিজেদের বিচারিক বিবেকের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে বিচার কার্য সমাধান করা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় জনগণের অগাধ আস্থা স্থাপন করতে হবে এবং থাকতে হবে, নইলে দেশের জনগণের অধিকার রক্ষা হবে না এবং স্বাধীনতাও বিপন্ন হবে। সব বিচারককে অসামান্য নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে।
সুত্র বাসস
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার থাকার কথা কারাগারে : তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যা বলেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন : আইনমন্ত্রী
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরমাণু জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠান কাল
সুস্থ ও আলাদা হয়ে বাড়ি ফিরল জোড়া লাগানো ওমর ফারুক ও আবু বকর
যুবসমাজের সম্ভাবনা বিকাশে সরকার কাজ করছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাবাংলা-৮৮ ফাউন্ডেশনের মশারী বিতরণ
সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াই শুরু হচ্ছে ভারত বিশ্বকাপ
মালয়েশিয়াকে ২ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল