অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নারীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল তিনজনকে আসামি করে মামলা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪শে আগস্ট ২০২৩ রাত ০৯:১১

remove_red_eye

৩৪৮

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে রেখা বেগম নামে এক নারীকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর ও টেনেহিঁচড়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (২১ আগষ্ট) বিকেল ৫ টার দিকে দুলারহাট থানা এলাকার নুরাবাদ ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের থানা ভবনের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ভিক্টিম রেখা বেগমকে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে রাতেই তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) প্রেরণ করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) সকালে রেখাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় রেখার বাবা তছির আহাম্মদ বাদী হয়ে বুধবার রাতে মো. হাফেজ মাজেদ, লিটন হোসেন ও রিনা বেগম নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রেখা দুলারহাট থানা এলাকার নুরাবাদ ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল গ্রামের মো. ছালাউদ্দিনের স্ত্রী। অভিযুক্ত আসামিরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে বুধবার (২৩ আগস্ট) রেখা বেগমকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুলারহাট থানা ভবনের পিছনে রেখা বেগমের স্বামী একটি পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেন। পুকুরটির পাশে আসামিদের সমতল জমি আছে। বর্ষার পানিতে সে জমিতে তলিয়ে ছিল। যাঁর কারনে আসামিরা রেখার স্বামীর পুকুরের পাড় কেটে পানি অপসারণ করেন। এতে বাঁধা দিতে গিলে ঘটনার দিন সকালে আসামিরা রেখার স্বামীকে মারধর করে। এরপর বিকেলে পুনরায় ভিক্টিম পুকুর পাড়ে গেলে আসামিরা তাকে বেধড়ক মারধর করে চুলের মুঠো ধরে টেনেহিঁচড়ে নির্যাতন করে। নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ভিক্টিমকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভিক্টিমের পরিবারকে মামলা করার কথা বললেও তারা মামলা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং মামলা না দেয়ার মর্মে লিখিতও দিয়েছেন। কিন্তু ঘটনাটি যখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। তখন পুনরায় রেখার বাবাকে থানায় ডেকে এনে বুধবার রাতে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পুলিশ আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।