অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


দাবানলের হুমকির মুখে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ॥ লোকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০২৩ বিকাল ০৫:৩২

remove_red_eye

২৫৮

কানাডার দু’টি শহরে শুক্রবার দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আরও একটি ‘ভয়ঙ্কর’ রাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুদূর উত্তর থেকে হতবাক শরণার্থীরা তাদের পুরো শহর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের দু’টি ফ্রন্টে চলতি গ্রীষ্মে সারা দেশে বিধ্বংসী দাবানলের সর্বশেষতম ঘটনায় হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে এবং লক্ষ লক্ষ একর ভূমি দাবানলে ঝলসে গেছে।
উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের রাজধানী ইয়েলোনাইফ থেকে কয়েকশ’ মাইল দক্ষিণে আলবার্টার এডমন্টন পৌঁছানো উদ্বাস্তুদের সাথে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকান্ডের কারণে ‘ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে’। কখন তারা তাদের বাড়িঘরে ফিরবেন তার কোন নিশ্চিত ধারণা নেই।
এদিকে পশ্চিম ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ইবি শুক্রবার গভীর রাতে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
ওকানাগান উপত্যকার দেড় লাখ জনসংখ্যার শহর কেলোনার পশ্চিমে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর এই ঘোষণা দেয়া হয়। আগুন শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, গত দিনে ৬,৮০০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে।
কর্মকর্তারা বর্ণনা করেছেন, অগ্নিনির্বাপকদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রচেষ্টা’ চালানোর সময় কিছু লাইনের পিছনে আটকা পড়েছে।
স্থানীয় দমকল প্রধান জেসন ব্রোলান্ড শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য গত রাতে কঠোর লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাঠামো হারিয়ে গেছে।’ তবে কোনো আঘাত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
‘এটি এক রাতে একযোগে ১শ’ বছরের অগ্নিনির্বাপণের মতো ছিল’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ রাতে তিনি আরেকটি ভীতিকর রাতের’ মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
কেলোনার পশ্চিম দিকের হাজার হাজার পরিবারকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বা বৃহস্পতিবার দিনের শেষের দিকে এক মুহূর্তের নোটিশে চলে যেতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল।
ডেভিড ইবি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখনই অপ্রত্যাশিত এবং সামনে আরো কঠিন দিন রয়েছে।’
সমগ্র জনসংখ্যাকে শুক্রবার বিকালের মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর সুদূর উত্তরে ইয়েলোনাইফ একটি ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। এই অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী লোক সরিয়ে নেয়া হয়।  
এর ২০,০০০ জন বাসিন্দার বেশিরভাগই গাড়িতে করে চলে গেছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলোর প্রত্যন্ত রাজধানী দক্ষিণ আলবার্টা প্রদেশের সাথে সংযোগকারী একক হাইওয়ে ধরে তারা এলাকা ত্যাগ করে।
নিকটতম উচ্ছেদ কেন্দ্রটি ১,১৫০ কিলোমিটার (৭০০ মাইল) দূরে আলবার্টাতে। যেখানে বেশ কয়েকটি সাইট স্থাপন করা হয়েছে।
প্রায় ৪,০০০ লোক বিমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি ত্রাণ ফ্লাইটের এক পাইলট কানাডিয়ান মিডিয়াকে বলেছেন, লেকসাইড শহরটি ‘বেশ ফাঁকা’ হয়ে গেছে।

সুত্র বাসস





আরও...