অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় গৃহবধূ রিপা হত্যার বিচার দাবিতে স্বজনদের সাংবাদিক সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ই আগস্ট ২০২৩ রাত ১০:২৫

remove_red_eye

১২৬৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার ভেলুমিয়ায়  যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী রিপা বেগমকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মোঃ ইমসাইলের বিরুদ্ধে। দেড় বছরের পুত্র সন্তান ইয়ামিন ভবিষৎ অন্ধকার। রিপার গলায় নখের দাগসহ একাধিক আলামত থাকলেও স্বামী ইসমাইলসহ ওই পরিবরের লোকজন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালায়। পুলিশ একই সুরে কথা বলছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও  সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরে  হত্যার বিচার দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিপার বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম, মা সিফু বেগম, চাচি ইয়ানুর বেগম, মমেলা বেগম , মামা মোঃ ঝিলন মিয়া । ২৫ জুলাই এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ গেল ২১ দিনে কোন আসামীকে আটক করে নি। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা রাখে নি। বাধ্য হয়ে আদালতে ৩০ জুলাই মামলা দিলে আদলত এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  ভোলা থানাকে নির্দেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হক। ওই আদেশে বিষয়টি গুরুতর বলেও উল্লেখ করা হয়। ওই আদেশের ১৬ দিনেও পুলিশ ব্যবস্তা নেয় নি। বরং তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  রিপার পরিবারকে কোন রূপ সহযোগিতা করেন নি। । এদিকে ভোলা থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কারনে প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।  বুধবার ( ১৬ আগষ্ট পাওয়া পোষ্টমটেম রির্পোটেও বলা হয়েছে আত্মহত্যা। তাই আদালতকে ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয়া হবে। নিহত পরিবারের স্বজনরা জানান, তারা ওই পোস্টমটেম রির্পোটের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাবে। এরা অভিযোগ করেন রিপা হত্যার পর থেকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওই এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে ঘন ঘন থানায় যেতেও দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিপা’র বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি জেলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর পারিবারিক সিদ্ধান্তে ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বারেক গাজীর ছেলে মোঃ ইসমাইলের সঙ্গে মেয়ে রিপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবিসহ নানা অজুহাতে রিপার উপর নির্যাতন চালায় ইসমাইলসহ তার পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতন সইতে না পেরে রিপা কয়েক বার বাড়ি চলে এসে ছিল। ইসমাইলের পিতা গরু দাবি করলে একটি গরু কেনার টাকা  ও শিশু পুত্র ইয়ামিনের জন্মের পর একটি চেইনও দেন রিপার দরিদ্র পিতা রফিকুল ইসলাম। এর পরও বন্ধ হয় নি রিপার উপর নির্যাতন। ২৫ জুলাই সকালে একজন ফোন করে জানায় রিপা আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তারা ইসমাইলের বাড়ি গিয়ে দেখেন লাশ খাটের উপর শোয়ানো। ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান। কিন্তু গোসল করার সময় রিপার গলায় হাতের নখের জখম দেখা যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা তা আমলে নেন নি । রিপার মা অভিযোগ করে বলেন,  আমার মেয়ে দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে রেখে কেন , কি কারনে কোন মা আত্মহত্যা করবে। এর বিচার  কে করবে। তারা অসহায়। তাদের জন্য কি কোন বিচার নেই। এমন কথা বলতে  বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে রিপার মৃত্যু’র পর শ^শুর বারেক গাজীকে থানায় আনা হলেও রাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর থেকেই ওরা বলে বেড়ায় ওদের কিছুই হবে না। রিপার শ^শুর বারেক গাজি জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। স্বামী ইসমাইলের ফোন ০১৭৭৩০৪৩৬৬৩ বন্ধ রয়েছে।