অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় প্রবল বর্ষণ ও অতি জোয়ারে ১০ গ্রাম প্লাবিত


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ই আগস্ট ২০২৩ রাত ০৯:৫১

remove_red_eye

২৭১

মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় প্রবল বর্ষণ ও মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর প্রবাহিত হয়ে ৪ দিন ধরে দশ গ্রাম প্লাবিত। এতে ওই সমস্তর গ্রামে বসবাসরত কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এখনও সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় হাহাকার বিরাজ করছে দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে।
বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত (৪ দিন) উপজেলার তিনটি ইউনিয়েরে দশ গ্রামে বেড়ীর ভিতরে ও বাহিরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দা। গত ৪ দিন ধরে চুলায় হাড়ি না ওঠায় কেই পানি, কেউ মুড়ি খেয়ে কোনমত দিনযাপন করছে।
এদিকে মনপুরা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন চরকলাতলীর অবস্থা একই। সেখানে বসবাসরত ২০ হাজার মানুষের বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় গত ৪ দিন ধরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাতলী চরে বসবাসরত ইউপি সদস্য আবদুর রহমান ও ইউপি সদস্য মোঃ আমিন। তারা জানিয়েছেন সেখানাকার মানুষও অর্ধহারে-অনাহারে দিনযাপন করছে।
এদিকে মেঘনার পানি গত তিনদিরে চেয়ে শনিবার কিছুটা কমে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন, সোনারচর, দাসের হাট, চরমরিয়ম, চরজ্ঞান গ্রামের বেড়ীর ভিতর বাহিরে জোয়ারে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর, মাষ্টারহাটের পশ্চিম পাশ বেড়ীর বাহিরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বাসিন্দারা। অপরদিকে মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক, পূর্ব আন্দিরপাড় গ্রামের বেড়ীর বাহিরে একই অবস্থা।
দুর্গত এলাকার হাসিনা,করিমন,শামসুন নাহার,শবনম, রাহাত, করিম সহ একাধিক মানুষ জানান, ৪ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় অর্ধহারে-অনাহারে দিনযাপন করছি। কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। আমরা কোনমতে মুড়ি ও পানি খেয়ে জীবনধারন করছি।
এই ব্যাপারে হাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, ৪ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ৫ টি গ্রাম। সরকারিভাবে সাহায্য আসলে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।
এই ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, সরেজমিনে ঘুরে তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নওরী হক জানান, সরকারিভাবে কোন কিছু আসলে দেওয়া হবে।