অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক সেমিনার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ই মার্চ ২০২০ রাত ০৩:২৩

remove_red_eye

৫৭১



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ‘‘জেনে বুঝে বিদেশ যাই, অর্থ সম্মান দুটোই পাই’’ এ প ¯েøাগান নিয়ে ভোলায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রবাসী কল্যান ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়ন ও তত্ত¡াবধানে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সেমিনার ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্বার্বিক) মোঃ আতাহার মিয়ার সভাপত্বিতে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ওই দফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল খালেক স্থানীয় সরকার বিভাগ উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আলম মামুন, নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান, প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু প্রমুখ।

এ সময় জানানো হয় ভোলা জেলা থেকে ৪ হাজার একশ ১৫ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। প্রতিবছর এরা সরকারের রাজস্ব বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছেন। একই সঙ্গে অনেকে বিদেশে যেতে দালালের কারণে প্রতারিত হচ্ছেন। সঠিক তথ্য না জানা থাকার কারনে সাধারন মানুষ ভুল পথে পা রাখছেন। খোয়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।  সাধারন মানুষকে তথ্য জানতে জেলায় স্থাপিত কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এসময় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার  ২০১৮ ঘোষনা অনুযায়ি প্রতি উপজেলা হতে বছরে গরে ১০০০ দক্ষ যুব ও যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের  ব্যাবস্থা করা হবে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করেছে।  আগামী বছর ২০২১ সাল খুব গুরুত্বপূর্ন বছর কারন এই রুপকল্প ২০২১ এর উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করা এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করা। আমাদের স্বাধীনতা সূবর্নজয়ন্তী আগামী বছর। আমরা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তর করার একবারে দারপ্রান্তে ঘোষনার জন্য আমরা অপেক্ষমান আছি। আমাদের মাথা পিছু আয় প্রায় ২ হাজার ডলার এবং আমাদের ২০৪১ সালের যে রুপকল্প বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করা। ২০৩০ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের মাঝে সেটি বাস্তবরুপ লাভ  করবে। প্রবাসী কল্যান ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের আমাদের খুব গুরত্বপুর্ন মন্ত্রনালয়। আমাদের যারা প্রাবাসি আছে তারা বিভিন্ন কাজে কর্মরত। তাদের দেখাশুনা করা তাদের সুবিধা অসুবিধা খেয়াল করা এবং তাদের জন্য নিতীমালা প্রনয়ন তাদের কোনো সমস্য হলে সেই সমস্যা সমাধান করা। প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ বিদেশে যায় এবং আমাদের যে বৈদাশিক আয় তার একটি বড় অংশ আসে এ প্রবাসিদের পাঠানো অর্থ দিয়ে।