অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ইউপি বোরহানউদ্দিনে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বহিস্কার হওয়ায় এলাকায় আনন্দ মিছিল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে জুলাই ২০২৩ রাত ১০:৪৭

remove_red_eye

২২৮

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে  হত্যার হুমকী দেয়ায়  বোরহানউদ্দিন উপজেলার আলোচিত পক্ষিয়া  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন সরদারকে  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  পদ থেকে বহিস্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এ ঘটনায় শুক্রবার এলাকার মানুষ আনন্দ মিছিল করেছে।  ২৬ জুলাই বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনকে প্রথমে সাময়িক বহিস্কার আদেশ দেয়া হয়। ওই  চিঠি কার্যকর করতে   ভোলার জেলা প্রশাসক ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া হয়। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে হত্যার হুমকী ও ইউপি নির্বাচনের সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকী দেয়া ও নানা মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায়  ৬ জুলাই আলাউদ্দিনকে  ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আলাউদ্দিন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে বহিস্কার আদেশে  স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের ইউপি-১ শাখার  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে হত্যার হুমকী দেয়ায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৮ নং পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিনকে ২৬ জুন ২০২৩ তারিখের  ৬১১ নং স্মারকে চিঠি দিয়ে লিখিত জবাব চাওয়া হয়ে ছিল। ১০ দিন অতিক্রম হলেও তিনি জবাব দেন নি। ফলে ২৬ জুলাই তারিখে ৭২৮ নং স্মারকের প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে আলাউদ্দিন সরদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই আদেশের ১০ দিনের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  বোরহানউদ্দিন থানার ওসি  ও দৌলতখান থাকার ওসি জানান, আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার অভিযোগ রয়েছে। তার ছেলের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাং বাহিনীর তান্ডবে স্থানীয়রা অতিষ্ট হয়ে ওঠে।  দৌলতখানের নুরুমিয়ারহাট এলাকায় চাঁদাবাজিকালে পুলিশ আলাউদ্দিনের ছেলেসহ ৫ জনকে আটক করে। ওই সময় আলাউদ্দিন সরদার পুলিশের কাছ থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে স্থানীয় এমপি আলী আজম মুকুলের সাহায্য চান। এমপি মুকুল আলাউদ্দিনের কথায় সম্মতি প্রকাশ না করায় আলাউদ্দিন  ক্ষিপ্তি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  এমপি মুকুলকে হত্যার হুমকী দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে একের পর এক  মিথ্যা বক্তব্য দিতে থাকে। এ নিয়ে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন। এরা আলাউদ্দিনকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম ঘোষনা করেন। আলাউদ্দিনকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয়। থানায় মামলা হলে আলাউদ্দিন গা ঢাকা দেয়। স্থানীয়রা জানান , এক সময়ের শ্রমিক সর্দার আলাউদ্দিন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে কাফনের কাপড় পড়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতেন। তার এমন অভিনয় ও নাটকে এলাকাবাসীর কাছি তিনি ছিলেন আলোচিত ব্যক্ত। ওই সময় তিনি কাফনের কাপড় পড়ে ঘন ঘন ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতো। ওই থেকেই তিনি ছিলেন আলোচিত ও সমালোচিত।