অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিন হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে জুলাই ২০২৩ রাত ১০:১২

remove_red_eye

২৯২

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনে সরকারী হাসপাতালে জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছে রোগীরা। নিরুপায় হয়ে রোগীদের কিনতে হচ্ছে ফার্মিসী থেকে যা খুবই ব্যয়বহুল জলাতঙ্ক টিকা নিতে হচ্ছে ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, কিছুদিন যাবত তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের টিকা রেবিক্স ভিসি সরবরাহ না থাকায় কুকুরের কামড়ের রোগী আসলে রেবিক্স আই.জি টিকা একটি করে দেয়া হয় রোগীদেরকে। বাকী রেবিক্স ভিসি সরবরাহ না থাকায় রোগীদেরকে ভোলা সদর হাসপাতাল অথবা ফার্মিসী থেকে কিনে নেয়া পরামর্শ দেয় হয়। ভোলায় আসার যাওয়ার ভোগান্তি ও ফার্মিসীগুলি ভ্যাকসিনের দাম ব্যয়বহুল হওয়ায় গরিব রোগীদের পড়তে সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। রোগী ও তাদের স্বজনদের আশা করেন সরকার গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে হাসপাতালে জলাতঙ্কসহ সকল রোগের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করবেন। অন্যদিকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন নেই। তবে কর্তৃপক্ষের দাবী তজুমদ্দিন নয় পুরো ভোলাতেই নেই করোনার ভ্যাকসিন। আপরদিকে সাপের কামড়ের টিকা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগীকে টিকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই ঝুঁকি এড়াতে সাপের আঘাতের রোগী ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন বেশিরভাগ সময়।
জানতে চাইলে কুকুরের কামড়ে আহত চাচড়া ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির মোহাম্মদ উল্যাহ ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩২) বলেন, ১৫ দিন আগে আমাকে কুকুরে কামড় দেয়। পরে হাসপাতালে গেলে ১হাজার টাকা একটা টিকা দেয়। বাকি ৫টা হাসপাতালে না থাকায় ফার্মিসী থেকে কিনতে হয়েছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ৫শত টাকা করে কিনতে হয়েছে যা খুবই ব্যয়বহুল। আমাদেরমত গরিব রোগীদের পক্ষ এতো টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালানে কষ্টকর। সরকারের কাছে দাবী গরিব রোগীদের কথা চিন্তা করে হাসপাতালে সবধরনের ভ্যাকসিন সরবরাহ করবেন। তজুমদ্দিন হাসপাতালের আরএমও ডা. তাসনীয়া ইসলাম বলেন, আমাদের হাসপালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন রেবিক্স ভিসি নেই। তবে রেবিক্স টি জি রয়েছে যা আমরা কুকুরের কামড়ের রোগীদের দিয়ে থাকি। অন্যদিকে করোনার ভ্যাকসিন বিদেশী হওয়ায় সরবরাহ না থাকায় আমাদের হাসপাতালে নয় আমার জানামতে ভোলাতেই নেই।