অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ব্যাংকের হাটে অন্য দোকানে চাকুরি নেওয়ায় কর্মচারীকে নির্যাতন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই নভেম্বর ২০১৯ রাত ১০:১১

remove_red_eye

৮২০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় বেতন ঠিক মত পরিশোধ না করায় অন্য দোকানে চাকুরি নেওয়ায় মোঃ রিয়াজ (১৬) নামে এক শিশু শ্রমিককে রট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগ অঠেছে মোঃ মনির নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত শিশু শ্রমিক রিয়াজকে স্থানীয়রা মারাক্তক আহত উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে।
আহত রিয়াজ ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর উমেষ গ্রামের হত দরিদ্র মোঃ লিটনের ছেলে।
আহত রিয়াজের মা তাসলিমা বেগম জানান, আমার স্বামী একজন গরিব মিস্ত্রি। আমাদের অভাবের সংসার। গত ২ বছর আগে ভেদুরিয়া এলাকার ব্যাংকের হাট বাজারে মোঃ লিটনের টেলিকম ও সাউন্ড সিস্টেমের দোকানের ১ হাজার টাকা বেতনে শ্রমিকের কাজ শুরু করে রিয়াজ। চাকুরি শুরুর এ পর্যন্ত মনির আমার ছেলেকে বেতন দিচ্ছিনা। বেতন চাইলে বিভিন্ন অজুহাদ দেখায়। এবং এক সাথে অনেক টাকা দিয়ে দোকান দিয়ে দিবে বলে লোভ দেখায়। গত কয়েক মাস পূর্বে আমার অসুস্থ্যতার কথা বলে ৪ হাজার টাকা চায়। এরপর সে প্রতি মাসে টাকা দিয়ে দিবে বলে। কিন্তু তারপরও দেয় না। এজন্য এ মাসের ২ তারিখ ভোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকার রূপসী সিনেমা হলের সামনে চাঁদনী লাইটিং দোকানে ৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মনির আমার ছেলে রিয়াজকে ব্যাংকের হাট বাজারে দেখতে পেয়ে তার দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে মনিরসহ তার তিন কর্মচারী আরিফ, সুমন ও শাকিল হত্যার উদ্দেশ্যে রট দিয়ে মারধর করে। এসময় মনির বলে তোকে মেরে ফেলবো। আমি টাকা দিইনা বলে আরেক দোকানে আর যাবি। তোরে মেরে ফেলবো দেখি তোর কোন বাপ এখন বাঁচায়। একটা মাডার করলে কিছু হবে না। ওই সময় রিয়াজের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মারাক্তক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
অভিযুক্ত মোঃ মনির সাংবাদিকদের জানান, রিয়াজকে আমি মারধর করেনি। দোকানের কর্মচারীরা তাকে মারধর করেছে। এবং রিয়াজের বেতন না দেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানান এব সাথে দিয়ে দিবো।

ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, আহত শিশু শ্রমিকের মা তাসলিমা বেগম আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।