অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনের বেতুয়া নদী অবৈধ জাল আর কচুরিপানায় এখন প্রায় মৃত


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০শে জুলাই ২০২৩ রাত ০৯:৫৬

remove_red_eye

২৬৯

লালমোহন প্রতিনিধি: বেতুয়া নদী। একসময় এই নদী দিয়ে চলত লঞ্চ, স্টিমার, মালামালবাহী ট্রলার, নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান। অবৈধ জালের ফাঁদে বছরের পর বছর পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে এখন সেই ভরা যৌবনের নদীটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। এখন মানুষ এটিকে বেতুয়ার খাল হিসেবে জানে। দখলে দখলে এটি এখন মৃত প্রায়। এক সময় এই নদীটির ছিল ভরা যৌবন। ঐতিহ্যবাহী এই বেতুয়া নদীটির অবস্থান ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে। ধলীগৌরনগর, লর্ডহার্ডিঞ্জ ও রমাগঞ্জ ইউনিয়ন। এই তিন ইউনিয়নের শেষ সীমানার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে গেছে বেতুয়া নদীটি। তবে নদীটির বিভিন্নস্থানে বিহিন্দি জাল, খুটা/খুর্চিজাল ও বেরজালসহ নানা ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে দখল করে মাছ শিকার করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। যার ফলে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জন্মাচ্ছে কচুরিপানা। এখন পুরো নদীটি কচুরিপানার দখলে। এতে করে নদীটি মরতে মরতে খালে পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, এখান দিয়ে এক সময় লঞ্চ, স্টিমার, বড় বড় মালবাহী ট্রলার এবং নৌকা যাতায়াত করতো। ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকার মালামাল এই বেতুয়া নদী দিয়ে আনা-নেওয়া করতেন। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধ জাল ও কচুরিপানার কারণে নদীটির জোয়ার-ভাটার পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে। এতে করে নদীটি ধীরে ধীরে তার নিজস্ব প্রবাহ হারিয়ে মরতে বসেছে।
স্থানীয় মো. আব্বাস, আল-আমিন, মো. জসিম, নূর ইসলাম ও পারভেজ বলেন, বেতুয়া নদী লালমোহনের ঐতিহ্যবাহী নদী। এখন এটি বেতুয় খাল নামে বেশি পরিচিত। তবে খালের বিভিন্নস্থানে অবৈধ জাল এবং কচুরিপানার ফলে সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি মরতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে জাল এবং কচুরিপানায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার ফলে বেশি সমস্যা হচ্ছে। দুই পাশের ফসলি জমি, ধানের বীজতলা এবং বসত বাড়ি, মাছের ঘের ও পুকুর পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় এলাকাবাসীর। দ্রæত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ জাল ও কচুরিপানা অপসারণ করে ঐত্যিবাহী এ বেতুয়া খালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, পানি প্রবাহ বন্ধের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই পানি প্রবাহ বন্ধের মূল কারণ খালে ব্যাপক হারে  পলি মাটি জমা। এছাড়া অবৈধ জাল ও কচুরিপানার কারণেও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ বেতুয়া খালটি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  





আরও...