অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার মাছের ঘের দখলের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা মার্চ ২০২০ ভোর ০৪:৩৪

remove_red_eye

৬৯৭




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা সদর উপজেলায় সাবেক এক ইউপি সদস্যকে গাছে বেঁধে কুপিয়ে মাছের ঘের দখল করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাভলু হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এসময় দখলকারীরা ইউপি সদস্য শফী মাল ও তার বড় ছেলে অলিউল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে ওই জমিতে একটি টিনের ঘর উঠিয়ে জমি দখলে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার শিকার শফি মাল উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। শনিবার দিবাগত রাতে ধনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাবেক ইউপি সদস্য মো. শফী মাল ও তার পরিবার জানান, ধনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দড়িরাম শংকর গ্রামের তাদের ৩ এককর জমির মাছের ঘেড়ের জমি নিয়ে ধনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক লাভলু হাওলাদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তারা উভয় পক্ষ ভোলা সদর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) ভোলা মডেল থানায় একটি সালিশ মিমাংশা বসে সাবেক ইউপি সদস্যকে ঘেড়ের মাছ ধরার জন্য অনুমতি দেয়। পরে তিনি মেশিন বাসিয়ে ঘেড় সেচের কাজ শুরু করেন। শনিবার গভীর রাতের দিকে শফী ও তার ছেলে অলিউল্লাহ ঘের থেকে বাড়ি ফেরা পথে লাভলু হাওলাদারের নেতৃত্বে নাহিদ, এনায়েত, মিন্টুসহ ৩০-৪০ জন তাদের চার দিকে ঘিরে ফেলে হাত-পা বেঁধে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা তাদেকে বেঁধে রেখে ঘেরের জমিতে জোরপূর্বক একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রবিবার সকালে তাদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় ভোলা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত লাভলু হাওলাদারকে ফোন করলে তিনি জানান, আমার সাথে অনেক দিন ধরে শফি মালের সাথে দেখা হয়নি। তবে আমি শুনেছি স্থানীয় মিন্টু নামের এক লোকের সাথে শফি মালের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা জমিতে ঘর তুলতে গেলে মিন্টুর সাথে শফি মালের সাথে মারামারি হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।