অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বিকল্প কর্ম সংস্থান না থাকায় ভোলায় দুই লক্ষাধিক জেলে চরম বিপাকে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১লা মার্চ ২০২০ রাত ০৩:৫৩

remove_red_eye

৭২৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : অভয়আশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় আজ (১ মার্চ) থেকে দুই মাসের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন । বিকল্প কোন কর্ম সংস্থান না থাকায় পরিবারের আয়ের উৎসাহ কি ভাবে জোগান দিবে তা নিয়ে চরম দুচিন্তায় পড়েছেন। তা ছাড়া জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল তাদের ভাগ্যে জুটবে কি না তাও জানা নেই। কারন নিবন্ধিত জেলের চাইতে এবছরও চাল কম বরাদ্ধ এসেছে। ফলে দায় দেনা নিয়ে অসহায় জেলেদের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে অভিযান শুরুর আগেই ফেব্রæয়ারি মাস থেকে জেলেদের ৪০ কেজি কওে চাল বিতরণের কথা থাকলেও তার এখনো বিতরন শুরু হয়নি।

ভোলা জেলার ৭ উপজেলার ছোট বড় শতাধিক মৎস্য ঘাটে কিছুদিন আগেও জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাকডাকে জমজমাট ছিলো।  নদীতে দিন রাত জাল নৌকা নিয়ে ব্যস্ততা ছিলো জেলেরা। কিন্তু আজ থেকে ঘাট গুলোতে নেই কর্মচাঞ্চল্য,হাক ডাক। প্রতি বছরের ন্যায় ভোলা সদরের ইলিশা মেঘনা থেকে চরপিয়াল ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালির চর রুস্তম পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষনা করায় ১ মার্চ থেকে -৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ও জাল ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। এসময় জেলেদের সহায়য়তার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল তাদের শেষ ভরসা। কিন্তু ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন নিবন্ধিত জেলে থাকলেও মাত্র ৭০ হাজার ৯৪৩ জন জেলে পরিবারের জন্য এবছর চাল বরাদ্ধ এসেছে। তাই সকলে ভাগ্যে সেই চালও জুটবে না। আবার সেই সরকারি চাল বিতরণে নানা অনিয়মেরও অভিযোগ করেন জেলেরা।

অন্যদিকে জেলার শতাধিক মাছ ঘাট গুলোর পাইকার ও আড়তদাররা জেলেদের পাওনা টাকা পরিশোধ করে মাছ বেচা-কেনার বাক্স ধুয়ে-মুছে গুটিয়ে ফেলছেন। আগামী দুই মাস সব ধরনের মাছ বেচা কেনা থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানান তারা।  এছাড়া তারা এনজিও’র কাছ থেকে বহু টাকা ঋন নিয়েছে।  তাই এই ২ মাস এনজিও’র কিস্তির টাকা বন্ধ রাখার জন্যও দাবী জানান জেলেরা।

এদিকে ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সরকারিভাবে বিশেষ ভিজিএফ এর আওতায় ৪০ কেজি করে ৪ মাস চালের বরাদ্দ এসেছে। দ্রæত ওই চাল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষনাকে কেন্দ্র করে জেলেদেরকে সচেতন করা জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলেদের দাবী তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ভাবে দ্রæত যাদে বিতরণ করা হয়।