অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ভূমিদস্যুর হাত থেকে জমি ফিরে পেতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে জুন ২০২৩ রাত ১১:০৯

remove_red_eye

২৯৪


 

শফিক খান :  ভোলা সদর উপজেলায় এক ভূমিদস্যুর হাত থেকে জমি ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভূমিদস্যু জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (২১জুন) বিকালে সদর উপজেলার ইলিশা রাস্তার মাথা বাজার সংলগ্নে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ভুয়া জাল কাগজপত্র ও ভুয়া বিএস খতিয়ান দেখিয়ে জমি বিক্রি ও অন্যের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চর ইলিশা গ্রামের মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক সিকদারের বিরুদ্ধে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মো. জসিম সিকদার, রফিকুল ইসলাম, তছির, রোজিনাসহ ভুক্তভোগী অনেকে।ভুক্তভোগী পরিবার জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভূমিদস্যু আজিজুল হক সিকদার জাল কাগজ তৈরি করে এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখলে নিয়ে ভোগদখল করছে। এতে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে উল্টো  নানা প্রকার হয়রানি করে। এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহায়তা চান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

অভিযুক্তের সৎ ভাই মো. জসিম বলেন, আমাদের নামে আমাদের বাবা কিছু জমিজমা ক্রয় করে যায়। তখন ঐ জমি বিএস রেকর্ড করার জন্য কাগজপত্র আজিজুল হক সিকদারের কাছে দিলে তিনি জানান, আমাদের নামে জমি রেকর্ড হয়ে গেছে। আজ আমরা ২৫ থেকে ৩০ বছর পর জানতে পারি জমি আমাদের নামে রেকর্ড না করিয়ে আজিজুল হক তার নামে ওই জমি বিএস রেকর্ড করে নেন। এখন তিনি ওই জমি জবরদখল করে রেখেছে। আমার মতো অনেকের জমি তিনি ভোগদখল করছে। আমাদের কাগজপত্র দেখে আমাদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহায়তা চান।

ক্ষতিগ্রস্থ রফিক বলেন, এই আজিজুল হক আমাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে নাজেহাল করে আসছে। আমার এখানে ৬ শতাংশ জমি। আমার এক ফ্লোট জমি আজিজল হিন্দুদের দখল দেয় এবং হিন্দুদের জমিও তিনি ভোগ করেন। আমি এই জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

ভুক্তভোগী রোজিনা বেগম বলেন, আমার জমির দলিল আছে। কিন্তু আজিজুল হক আমার জমি অন্যের কাছে বিক্রি করেছে। তাদের বললে তারা জানায়, তাদের কাছে জমির রেকর্ড আছে। এখন আমি অসহায় নিরুপায় হয়ে পথে পথে ঘুরি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমরা যেনো আমাদের জমি ফিরে পেতে পারি।