অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নানা আয়োজনে পালিত হলো রথযাত্রা উৎসব


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে জুন ২০২৩ রাত ০৯:৩১

remove_red_eye

৪০৩

মলয় দে: ভোলায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত  হয়েছে।

মঙ্গলবার  (২০ জুন) প্রধান রথযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হয় মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দির থেকে। বাপ্তা ইসকন মন্দির থেকেও পৃথক ভাবে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় এ উৎসব।এ দিন সকাল থেকেই বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা উৎসবের মূল আচার-অনুষ্ঠান।

পরে বিকালে স্ব স্ব মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য  বিশাল ২টি রথে জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা বের করা হয়। রথের রশি ধরে টেনে নিয়ে চলেন ভক্তরা। আর রথে থাকা পূজারিরা বিভিন্ন ধরনের ফল ছুড়ে ভক্তদের উদ্দেশ্য করে।ভক্তরা সেই ফলগুলো প্রসাদ স্বরূপ গ্রহন করে।ভক্তদের বিশ্বাস রশি টানলে তাদের আর পুনর্জন্ম হবে না।  

মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দির থেকে রথটি বের হয়ে কালীনাথ রায়ের বাজার হয়ে  ভোলা সরকারি স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে ডিসি অফিস হয়ে সদর রোডের পাচতহবিলে গিয়ে শেষ হয়।  

অপর দিকে বাপ্তা ইসকন মন্দির থেকে সুশৃঙ্খল ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তাদের  রথটি বের হয়।ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে ডিসি অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিন করে তাদের রথযাত্রা উৎসব শেষ হয়।এসময় পুরোটা পথ নিরাপত্তার কঠোর বলয়ে মুড়ে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এই রথ উৎসব উপলক্ষে ভোলার ইসকন মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে।সেখানে সকাল থেকে চলে নাম কীর্তন ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। 

আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হওয়া উৎসবের প্রত্যাবর্তন হবে একাদশী তিথিতে। কথিত আছে, আষাঢ় মাসের শুক্লা তিথিতে জগন্নাথ, তার ভাই বলভদ্র (বলরাম) ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে পুরীধামের মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে যান। সেখানে ৯ দিন অবস্থানের পর আবার পুরীধামে ফিরে আসেন। পুরীধামে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

২৮ শে জুন উল্টোরথে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম আবার মদনমোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরে  ফিরে আসার মধ্য দিয়ে শেষ হবে ভোলার রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।