অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


সৌদি অর্থের অপব্যয় ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য হুমকি নয় : উয়েফা প্রধান


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৫৫

remove_red_eye

১৯২

সৌদি আরবে খেলোয়াড় চলে যাবার কারনে ইউরোপীয়ান ক্লাবগুলোর ভীত হবার কোন কারন নেই বলে উল্লখ করেছেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। তারকাদের ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এত অর্থ ব্যয়ে দলভূক্তি করার বিষয়টি সৌদির ক্লাবগুলোর ভুল সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন উয়েফা প্রধান।
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও করিম বেনজেমা বেশ চড়া মূল্যের বিনিময়ে ইউরোপীয় ক্লাব ছেড়ে এ বছর সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের প্রস্তাব ছিল লিওনেল মেসি ও লুকা মড্রিচের জন্যও। ২০০৮ সাল থেকে এরা সবাই মিলে প্রায় প্রতিটি ব্যালন ডি’অর জয় করেছেন এবং প্রত্যেকেই অন্তত ৩৫ বছরে পা দিয়েছেন।
সৌদি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দেশটির শীর্ষ লিগের চারটি দলের মালিকানা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের হাতে চলে যাওয়ায়  ইউরোপ ভিত্তিক আরো অনেক খেলোয়াড়কে দলে টানার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের ইউরোপ ছেড়ে চলে যাবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেফেরিন ডাচ ব্রডকাস্টার এনওএস’এ বলেছেন, ‘না, মোটেই না। আমি মনে করি এটা সৌদি আরবের ফুটবলের বড় একটি ভুল। কারন তারা যেটা করছে তা ঠিক হচ্ছেনা। তাদেরকে নিজেদের একাডেমিগুলোর উপর জোড় দিতে হবে, সেখানে অর্থ লগ্নী করতে হবে। বিদেশী কোচ নিয়োগ দিতে হবে, তাদের নিজেদের খেলোয়াড়দের উন্নতিতে মনোযোগী হতে হবে। যে সমস্ত খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার শেষের দিকে তাদেরকে কেনার মাধ্যমে ফুটবলের উন্নতি হবে না। চায়নাও প্রায় একই ধরনের ভুল করেছিল। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া খেলোয়াড়দের নিয়ে তারা লিগ চালানোর চেষ্টা করেছে।’
২০১২ সালে চাইনিজ লিগে প্রথম তারকা হিসেবে গিয়েছিলেন দিদিয়ের দ্রগবা। এরপর ইউরোপ ভিত্তিক ফরোয়ার্ড নিকোলাস আনেলকা, ফেডেরিক কানুতেকে তারা দলে ভেড়ায়। কিন্তু তারপর থেকে চাইনিজ লিগ ও তাদের জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ভাবে খুব কমই উন্নতি করেছে।
সেফেরিন আরো বলেন, ‘এখানে অর্থই মূল নয়। খেলোয়াড়রা শীর্ষ লিগ জয়ের কৃতিত্ব অর্জণ করতে চায়। আর শীর্ষ লিগগুলো সবই হয় ইউরোপে।’
ইউরোপীয়ান ফুটবল তাদের শীর্ষ কিছু খেলোয়াড়কে হারিয়ে কার্যত আকর্ষণ হারাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেফেরিন বলেছেন, ‘আমরা তাদেরকে হারাচ্ছি না। তারা এখনো ফুটবল খেলে। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে কিছু অর্থ লাভের আশায় কিছু খেলোয়াড় হয়তোবা অন্যত্র যাবে, এটাই স্বাভাবিক।’

সুত্র বাসস