অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


কোরবানির বাজার কাঁপাতে প্রস্তুত লালমোহনের মানিক


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ই জুন ২০২৩ রাত ০৯:১৩

remove_red_eye

২৭৫

লালমোহন প্রতিনিধি: মো. নূরুজ্জামান ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়ার শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা। প্রায় পাঁচ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা ২০টি। এরমধ্যে এবছরের ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন একটি গরুকে। পরম যতœ আর পরিচর্যায় পালন করা ওই গরুটির নাম রেখেছেন ‘মানিক’। নূরুজ্জামান তার তিন বছর বয়সী গরুটির দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। ওই গরুর ওজন প্রায় ১৫ মণ। উচ্চতার দিক দিয়ে গরুটি ৫ ফুট। দৈর্ঘের দিক থেকে গরুটি অন্তত ৮ ফুট।

খামারের গরু ‘মানিক’কে বিক্রির ব্যাপারে খামারি মো. নূরুজ্জামান বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি গরু নিয়ে পাঁচ বছর আগে নিজ বাড়ির আঙিনায় খামার গড়ে তুলি। বর্তমানে যেখানে রয়েছে ২০টি গরু। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি ষাঁড় ও ৭টি গাভী, বাকিগুলো বাছুর। এসব গরুর মধ্যে একটিকে এবছরের ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। আমি মনে করি; পুরো জেলায় এই গরুটি সবচেয়ে বড়। তাই যতœ করে গরুটির নাম দিয়েছি ‘মানিক’। যার ওজন হবে প্রায় ১৫ মণের মতো। গরুটি বিক্রির জন্য দাম দিয়েছি ১০ লাখ টাকা।
নূরুজ্জামান আরো বলেন, গরুটির পিছনে গত ৬ মাস ধরে দৈনিক দেড় হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এই গরুটিসহ খামারের বাকি গরুগুলোকে খৈল, ভূষি, ভুট্টা ও ঘাস খাওয়ানো হয়। এছাড়া, খামারে থাকা ৭টি গাভী গরু প্রতিদিন দেড় মণ করে দুধ দিচ্ছে। প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার দুধ বিক্রি করতে পারছি। খামারের গরুগুলো থেকেও এখন ভালো টাকা আয় হচ্ছে।
লালমোহন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, কোরবানি উপলক্ষে যেসব পশু বাজারজাত করা হবে, সেসব পশু সুস্থ-সবল কিংবা রোগাক্রন্ত কিনা তা নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।





আরও...