অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৫৭

remove_red_eye

২৮৭

জেলায় আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু মজুদ রয়েছে। এবছর কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় সম্ভাব্য প্রয়োজন ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪’শ পশু। বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২’শ ৫, মহিষ ৫ হাজার ৫’শ ৬০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২’শ ৭৩ টি। জেলার ২ হাজার ৮’শ ৭৩টি খামারে ৩৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এবছর কোরবানিতে সম্ভাব্য চাহিদার তুলনায় আমাদের ৫ হাজারের বেশি পশু রয়েছে। তাই আশা করছি পশুর কোন ঘাটতি হবেনা। কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হবে ২১ টি মেডিকেল ভেটেরিনারি টিম। খামারগুলোতে নিষিদ্ধ ওব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের দপ্তর থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ ধরণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশু সঠিকভাবে জবেহ ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য ৩’শ ৩৫ জন কষাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি। এছাড়া এবছর জেলার ৭ উপজেলায় সব মিলিয়ে ৭৩টি পশুর হাট বসবে। ২০ জুনের পর থেকে হাটগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হবে। তবে বিভিন্ন খামার থেকে অনেকেই আগাম পশু কেনা শুরু করেছেন।
এদিকে ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পারিবারিকভাবে পালন করা পশুর মালিকরা। পশু বিক্রির সময় ঘনিয়ে আসায় তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন পশুর পরিচর্যায়। তারা দাবি করছেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে জেলায় পশু মোটাতাজকরণ করা হচ্ছে।
সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের নয়ার চর এলাকার গরুর খামরি ফিরোজ হাওলাদার ও জাবেদ আলী জানান, তারা দেশিয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে খর, খইল, ছোলা, সবুজ ঘাষ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছেন। এখন তা হাটে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন।
অন্যদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে কামার পাড়ায়। লোহার উপর হাতুরি পেটার টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে বিভিন্ন কামারের দোকানগুলো। পশুর মাংস কাটার বিভিন্ন আকৃতির দা, বটি, ছোড়া, চাপাতি তৈরিতে মগ্ন তারা।