অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ৩৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল জুড়ে পাঠ্য বাইরে সূচি


হাসনাইন আহমেদ মুন্না

প্রকাশিত: ১৬ই জুন ২০২৩ রাত ০৯:২৭

remove_red_eye

২৬৮

হাসনাইন আহমেদ মুন্না: ভোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল জুড়ে পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন সূচি শোভা পাচ্ছে। লাল, নীল, সবুজ নানা রং’র বাংলা, ইংরেজী ও গণিতের বিভিন্ন বর্ণমালা আকা রয়েছে বইয়ের পাতার মতন। জাতির পিতার প্রতিকৃতী, মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ৭ বীরশ্রেষ্ঠ’র ছবি, মনীষীদের ছবি ও বাণী, গণিতের চিহৃ, বিভিন্ন ছড়া, বইয়ের পাতার দৃষ্যসহ বাহারী সাজে সজ্ঝিত জেলার ৭ উপজেলার ৩৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুজোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধসহ নিশ্চিত হচ্ছে শিশু বান্ধব পরিবেশ।
গত প্রায় তিনবছর যাবত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এমন সৌন্দর্জ বর্ধনের কাজ শুরু হয়। ফলে  বিদ্যালয়গুলোতে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। একেকটি দেয়াল হয়ে উঠছে আদর্শলিপির বই। পর্যায়ক্রমে জেলার এক হাজার ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এই কার্যক্রমে আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলার মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সুসজ্জিত বিদ্যালয় রয়েছে সদর উপজেলায় রয়েছে ৩৫টি, দৌলতখানে ৪৩টি, বোরহানউদ্দিনে ৬৮টি, চরফ্যাশনে ৬১টি, লালমোহনে ৭৭টি, তজুমদ্দিনে ৮০টি ও মনপুরায় ১০টি। বিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব আর্থিক বরাদ্দ থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আমিনুল ইসলাম  বলেন, এই কার্যক্রমের ফলে আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। শিক্ষকদের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ উভই অনেক সহজ হচ্ছে। 
তিনি বলেন, একইসাথে শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ির চাইতে বিদ্যালয়ে অধিক সময় কাটাতে পছন্দ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের কোমল মনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পর্যায়ক্রমে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় এমন সৌন্দর্য বর্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। 

পৌর এলাকার মাষ্টার রফিকুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদা পরভিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৌন্দর্জ বর্ধনের ফলে শিকাক্ষার্থীরা বেশ খুশি। দেয়ালের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের ফলে শিশুদের মনে পাঠ গ্রহণ স্থায়ী হচ্ছে। একই পড়া একাধিকবার পড়ার প্রয়োজন হয়না। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। গল্প ও কবিতার ছলে পড়ানো হচ্ছে শিশুদের।