অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনের মেঘনা নদীতে চলছে নির্বিচারে চিংড়ির রেণু শিকার


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই জুন ২০২৩ রাত ০৯:২২

remove_red_eye

২২৮

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের মেঘনা নদীতে প্রকাশ্যে চলছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু শিকার। এতে করে ধ্বংস হচ্ছে নদী ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী প্রকাশ্যে চিংড়ির রেণু শিকার করলেও এ নিয়ে নিবর স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু পোনা। এসব পোনা অতি ক্ষুদ্র হওয়ায় তা শিকারে যে জাল ব্যবহার করা হয় তাতে ধ্বংস হয় নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ির রেণু আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে নদীতে প্রকাশ্যেই চলছে চিংড়ির রেণু শিকার।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাট এলাকায় চিংড়ির রেণু শিকারী মো. কামরুলের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবত খুর্চি জাল দিয়ে চিংড়ির রেণু শিকার করছেন। প্রতিদিন দুইশত রেণু ধরতে পারেন তিনি। পাঁচশত পিস হলেই প্রতি পিস এক টাকা মূল্যে বিক্রি করে দেন। এসব চিংড়ির রেণু খুলনা থেকে এসে ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাদের থেকে কিনে নেন। ওই এলাকায় আরো অন্তত ৫০-৬০ জন এসব চিংড়ির রেণু শিকার করেন। যারা এসব মাছ শিকার করেই সংসার চালান বলে জানান চিংড়ির রেণু পোনা শিকারী কামরুল।
অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে শত শত অসাধু জেলে এসব চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করছেন। প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে এ রেণু শিকারে তেমন বেগ পেতে হয় না শিকারীদের। সূত্রের তথ্যমতে, এক সপ্তাহ পর পর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর এলাকা দিয়ে ট্রলার যোগে রাতের আঁধারে খুলনায় এ চিংড়ির রেণু পাঠানো হয়। এসব রেণু কেবল লালমোহনেরই নয়; যা চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে এনে খুলনায় পাঠানো হয়। যেখানে থাকে অন্তত ৫০-৬০ লক্ষ চিংড়ির পোনা।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ বলেন, দুইটি নদীর অসংখ্য স্থানে এসব চিংড়ির রেণু শিকার করা হয়। আমাদের লোকবল সঙ্কটের কারণে এক সঙ্গে সবগুলো স্থানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করছি। এছাড়া যারা নদীতে এসব চিংড়ির রেণু শিকার করেন, তারা আমাদের অভিযানের বিষয় টের পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। তাই হাতেনাতে কাউকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।


 





আরও...