অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায়ে ব্যস্ত ভোলার ২০ হাজার খামারি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ই জুন ২০২৩ রাত ১০:২২

remove_red_eye

৪৩৯


গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খরচ,সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার ২০ হাজার খামারি। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত খামারিরা খামারে পশু পরিচর্যার কাজ করছেন।

তবে খামারিরা বলছেন, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়েও শঙ্কিত তারা। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিদের হাতে-কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

সংশিালষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার পশু খামার রয়েছে৷প্রতিটি খামারে দিনরাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হ্নষ্টপুষ্ট করার কাজ চলছে। প্রতিটি খামারে রয়েছে ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের কোরবানি পশু।

খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারের ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি ভুট্টার ভুষি ২৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে অন্যান্য খাবারের দামও। তাই প্রতিটি গরু লালন-পালনে বাড়তি খরচ হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। যা বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের মাশাল্লাহ ডেইরি ফার্মের মালিক মো. ইউছুফ হোসেন বলেন, এ বছর যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে খামারিরা বাজার দাম ভালো পাবে। তাই আমরা খামারিরা দাবি জানাচ্ছি যাতে অবৈধ পথে দেশে পশু না আসতে পারে।

একই গ্রামের খামারি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও তিনি কোরবানি ঈদে বিক্রির আশায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি গরুপ্রস্তুত রেখেছেন। তিনি আসা করছেন এবার ভালো দামে তিনি পশু বিক্রি করতে পারবেন।

খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশু বিক্রি বন্ধে, এরইমধ্যে হাটগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

ভোলা পুলিশ সুপার মো.সাইফুল ইসলাম জানান, গরুর হাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, বাজারে জাল টাকার যে একটা সমস্যা হয় তা যাতে না হয়। সে জন্য জেলা পুলিশ শক্ত নজরদারি করছে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে, খামারিদের হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মÐল  বলেন, কৃত্তিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করা যাবে না। স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। এছাড়া আরো নানান বিষয়ে আমরা খামারিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মেটানো যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

এছাড়াও জেলায় অনলাইনে অন্তত ৮ হাজার গরু-ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর।