অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে জরার্জীন ঘরে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভোর ০৫:০৪

remove_red_eye

৭৬৯





মেহেদী হাসান নাহিদ,মনপুরা থেকে : মানিঅর্ডার, মানিট্রান্সফার কিংবা অর্থ সম্পর্কিত লেনদেনসহ কোন প্রকার সঞ্চয়স্কীম করা যাচ্ছেনা পোস্ট অফিসে। এমনকি রাত জেগে পাহারা দিতে হয় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র। এছাড়াও বর্ষাকালে ডাকে আসা গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র নষ্ট হয়ে যায় বৃষ্টিতে। এমটাই ভোলার মনপুরা উপজেলার পোস্ট অফিসের বাস্তব চিত্র।

গত ১৭ বছর যাবত পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলেেছ ভাড়াটিয়া জরাজীর্ণ ঘরে। পরীক্ষার পেপার, গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ও টাকা-পয়সা চুরি যাওয়ার ভয়ে-আতংকে রাত পার হয় পোস্ট মাষ্টার ও রানারদের। এমনকি মানি অর্ডার করেনা টাকা চুরির ভয়ে। এতে স্থানীয়রা সেবা না পেয়ে পোস্ট অফিস বিমুখ হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, তৎকালীন পোস্ট মাষ্টার মোঃ জামাল উদ্দিনরে আবদনের প্রেক্ষিতে নদীভাঙ্গনের অজুহাতে ২০০২ সালে উপজেলার পোস্ট অফিসের পাকা তিনতলা ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর ওই ভবনের পাশে আধাঁপাকা জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘরে ভাড়ায় চলছে পোস্ট অফিসের কাজ।

পোস্টম্যান অনুপ কুমার দে ও পেকার শ্যামল মাঝি জানান, জেএসসি, জিডিসি, এস.এস.সি, দাখিল, কারিগরি ভোকেশনাল, এইচ.এস.সি ও ডিগ্রী পরীক্ষার খাতা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। যেই দিন পরীক্ষার খাতা রাখা হয় ওইদিন ভোলা প্রেরণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পোস্ট অফিসে খাতা রাখতে হয়। এতে রাত জেগে পাহারায় থাকতে হয় নিজেদের। এমনকি জরাজীর্ণ ঘরের কারনে টাকা রাখার পরিবেশ না থাকায় মানি অর্ডার করতে পারিনা। সরকারি অনেক সেবা পরিবেশের কারণে স্থানীয়দের দিতে পারিনা। এই পোস্ট অফিসে যিনি আসেন, তিনি কিছুদিন পর তদবির করে চলে যেতে চায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ভাড়াটিয়া জরাজীর্ণ আধাপাকা টিনশেডের ঘরে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। উপরের সকল টিন ফুটো হয়ে মরিচা পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার এস.এস.সি জীববিজ্ঞান, ভোকেশনালের ট্রেড-২ (২য়পত্র) ও মাদ্রাসার ইসলামের ইতিহাসের খাতা পোস্ট অফিসে জমা দেওয়া হচ্ছে। ভিতরে সব আসবাবপত্রই জরাজীর্ণ। তারপরও কাজ করছে পোস্ট অফিসের লোকজন। এমনকি পরীক্ষার খাতা রাখার আলমারীটি ভাঙ্গা।

মনপুরা উপজেলা পোস্ট মাষ্টার আবদুল মন্নান জানান, জরাজর্ণীর ঘরের কারনে ভয়-আতংক নিয়ে কাজ করতে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রæত পোস্ট ভবনের কাজ শুরু হবে।

এই ব্যাপারে ভোলা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক মোঃ ইমরান জানান, মনপুরায় নতুন ভবনের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবনের কাজ শুরু হবে।