অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


জয়শঙ্কর বারাণসীতে জি২০ ডিএমএম-এ প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়েছেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই জুন ২০২৩ বিকাল ০৩:৩৭

remove_red_eye

১৮৯

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতে আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের সম্মেলনে (ডিএমএম) ভেন্যুতে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়েছেন।
বারাণসী উন্নয়ন মন্ত্রীদের সভাটি ক্রমবর্ধমান উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই চ্যাঞ্জেলগুলো অর্থনৈতিক মন্দা, ঋণের দুরবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তাহীনতার কারণে আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
জি২০ এবং এর অতিথি দেশগুলির মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি জি২০ ভারতীয় প্রেসিডেন্সির অধীনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। তিনি হাই প্রফাইল জি২০ উন্নয়ন  মন্ত্রীদের বৈঠকের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ গ্রহণ করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মেলনে একটি বিশেষ ভিডিও বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতায় তিনি কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর পরপরই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট খাদ্য, জ্বালানী ও সার সংকটকে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর উন্নয়নের পথে এক মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা বলে উল্লেখ করেছেন।    
তিনি আরো বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পিছিয়ে না যেতে দেয়া আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে- তা নিশ্চিত করতে হবে। এই গোষ্ঠীটির জন্য বিশ্বকে এ ব্যাপারে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো অপরিহার্য যে- এটি অর্জনের জন্য আমাদের একটি কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে।’
মোদি আশা করেন, জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি এসডিসি অর্জনকে ত্বরান্বিত করতে এবং উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু এজেন্ডাগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনের সম্মিলিতভাবে একমত হওয়ার একটি সুযোগ হবে।
সরকারী সূত্র অনুসারে, বৈঠকে দুটি প্রধান অধিবেশন থাকবে, একটি ‘বহুপাক্ষিকতা : এসডিজির দিকে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য যৌথ পদক্ষেপ’ ও আরেকটি ‘সবুজ উন্নয়ন : একটি জীবন (পরিবেশের জন্য জীবনধারা) দৃষ্টিভঙ্গি’ বিষয়ক।
৬-৯ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এবং চূড়ান্ত ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ সভার আগে উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছিল।
প্রতিনিধিদের বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে অন্যতম বারাণসীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আভাস দেয়ার জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী এবং ভ্রমণেরও আয়োজন করা হয়েছে।

সুত্র বাসস





আরও...