অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেফতার-১


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই জুন ২০২৩ রাত ০৮:৪২

remove_red_eye

৪১০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলায় সাত বছরের এক শিশুকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের পাশর্^বর্তী বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।  এই অভিযোগে মো. হানিফ মোল্লা ওরফে হানু (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে মঙ্গলবার  ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানাই নগর গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী এবং ওই এলাকার মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা।
ওই শিশুটির দাদা জানান, সোমবার সকালে শিশুটির মা চার বছরের চাচাতো ভাইকে সহ বাসায় রেখে এক আতœীয়র বাড়িতে যান। আর তার দাদা পশুর চিকিৎসা করানোর জন্য বাহিরে যায়। দুপুরের দিকে ওই শিশুটি তাঁর দাদাকে খোঁজ করতে বাড়ির পাশেই গরু ঘরের কাছে যাওয়ার সময় পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দা হানিফ তাদের দুই জনকে ডেকে সড়কের পাশে একটি বাগানে নিয়ে যায়। পরে তার সাথে থাকা চার বছরের শিশুটিকে রাস্তায় দাড় করিয়ে রেখে ওই শিশুটি জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ওই শিশুর কলেজ পড়–য়া চাচাতো বোন কলেজ থেকে এসে ছোট চাচাতো ভাইকে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ওই শিশুটি বাগানে মধ্যে বলে জানায়। কলেজ পড়ুয়া চাচাতো বোন বাগানে গিয়ে ঘটনা দেখতে পায়। পরে তার উপস্থিতি দেখে হানিফ সেখান থেকে চলে যায় এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ওদেরকে হুমকি দিয়ে যায়। এর পর ভিকটিম শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটির দাদা আরো অভিযোগ করে জানান, শিশুটির মা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত হানিফকে আটক করে। এর পর থেকেই হানিফের পরিবার ও ধনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজ হক পাটওয়ারী তাদের বাড়িতে এসে দুই লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে যায়। শিশুটির দাদাকে টাকা নিয়ে বিষয়টি মিমাংশ করা কথা বলেন তারা। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তবে এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজিজল হক পাটওয়ারী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল দেখতে গিয়েছেন। তখন তার সাথে আরো লোকজনও সেখানে ছিলো। তবে তিনি শিশুটির দাদাকে টাকা পয়সা বা মিমাংশার কোনো প্রস্তাব দেননি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হানিফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।