অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ময়না তদন্ত শেষে সেবাইতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভোর ০৪:০৬

remove_red_eye

৬৫০




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা শহরের শ্রী শ্রী মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরের সেবাইত নির্মল ভট্টাচার্যের লাশের ময়নাতদন্ত বুধবার দুপুরে স¤পন্ন হয়েছে। পরে বিকেল তার মরদেহ শেষবারের মতো মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হলে শত শত মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই সেবায়েতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহটি তার খুলনার দেশের বাড়ির পথে রওনা হয়।

এর আগে দুপুরে তদন্তের জন্য ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতি রামকৃষ্ণ বণিক দুলাল ও সাধারণ স¤পাদক বিপ্লব কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক জানান এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। পাশাপাশি মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে উপস্থিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে আতœহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব আলামত ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ময়না তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী টিমের প্রধান ডাক্তার মেহেদী হাসান বলেন, যেহেতু এখনো তদন্ত চলছে তাই এ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনার পর ভোলার কেন্দ্রীয় মন্দিরের সেবাইত নির্মল ভট্টাচার্য্য মন্দিরের বিগ্রহের সামনেই আতœহত্যা করেন। গত প্রায় ২ বছর ধরে ভোলার শহরের খাল পাড় সংগ্ন কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরের সেবাইতের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই মন্দিরের কর্মরত অঞ্জলী রানী চক্রবর্তীর সাথে ভক্তের দেয়া প্রণামির ১০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি ওই মহিলার গায়ে হাত তোলেন। মহিলাও তাকে পানি ছুড়ে মারে। এই ঘটনায় অঞ্জলী রানী মন্দির কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। পরে মন্দির কমিটির লোকজন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেবাহিত নির্মল ভট্টাচার্য্যের সাথে কথা বলেন। এসময় কিছু লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারতে উদ্যত হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় এ ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে বসা হবে। এরপর মন্দিরের আরতি শেষে দরজা বন্ধ করে ভিতরে বসে থাকেন। রাত ৯ টার দিকে মন্দিরের দরজা খুলে উপস্থিত লোকজন দেখতে পায় ওই সেবাইত কলাপসিবল গেটের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে।