অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরা উপজেলায় ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০১:৫০

remove_red_eye

১২৮২

 

মনপুরা  প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। প্রতি বছর কলাগাছ, বাঁশের কঞ্চি ও সাদা কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মান করে ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২১ শে ফেব্রæয়ারী মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালন করে আসছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অভাবে উপজেলায় পালন করে কিন্তু বিচ্ছিন্ন ও দূরের অনেক প্রতিষ্ঠানে এই দিবস পালন করা হয়না।

উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৭ টি, মাধ্যমিক ও নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০ টি, কলেজ রয়েছে ৩ টি, মাদ্রাসা রয়েছে ৬ টি। এর মধ্যে হাজিরহাট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনপুরা সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও ছমেদপুর বাংলা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে।
অন্য ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর ২১ ফেব্রæয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। দাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিন,অশ্রæ, দক্ষিণ সাকুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী  মিনহাজ, লামিয়া, সোহাগ, ৫ম শ্রেণীর মাইশা, রুবিনা, জরিনা জানান, আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই।  আমরা সবাই মিললা প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানাইয়া শ্রদ্ধা জানাই। আমরা চাই সরকার প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মান করে দেয়।

একইভাবে বলেন উত্তর সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষাথী জারিফ, সামিয়া, তৃষা, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া, জাকিয়া নুর, সাকিব, শিমুল, ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফারজানা, মরিয়ম বেগম, আয়শা আক্তার, তামিম, বাছেদ, রহমান সহ অনেকে।

মনপুরা মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি ও হাজিরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, মনপুরায় তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তাই ভবিষ্যৎ প্রজম্ম ভাষা শহীদের ইতিহাস ও সম্মান জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান দরকার। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবনের সাথে শহীদ মিনার নির্মানের জোর দাবী জানান। একইভাবে দাবী করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার ৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, এই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে আলাপ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।