অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


১০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির পর ভোলায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে সেবাইতের আত্মহত্যা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভোর ০৫:০৮

remove_red_eye

১৬৬৩


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ১০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনার পর ভোলার কেন্দ্রীয় মন্দিরের সেবাইত নির্মল ভট্টাচার্য্য (৬০) মন্দিরের বিগ্রহর সামনেই আতœহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ ওই সেবাহিতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত নির্মল ভট্টাচার্য্য খুলনা জেলার পাইপগাছা উপজেলার হরিদাস কাঠী গ্রামের বৈদ্যনার্থ ভট্টাচায্যের ছেলে। স্থানীয়রা ধারনা করছে, মন্দিরের সম্মানিত একজন পুরোহিতকে বুধবার শালিসী করে বিচার করা হবে এই অপমান সে মেনে নিতে না পেরে লজ্জা,অভিমান আর ক্ষোভে আতœহত্যা করেছে। 

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সেবাহিত প্রায় ২ বছর ধরে ভোলার শহরের খাল পাড় সংলগ্ন তরকারি বাজার এলাকার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরের সেবাইতের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই মন্দিরের কর্মরত অঞ্জলী রানী চক্রবর্তীর সাথে ভক্তের দেয়া প্রণামির ১০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি ওই মহিলার গায়ে হাত তোলেন। মহিলাও তাকে পানি ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় অঞ্জলী রানী মন্দির কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। পরে মন্দির কমিটির লোকজন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেবাহিত নির্মল ভট্টাচার্য্যের সাথে কথা বলেন। এসময় কিছু লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারতে উদ্যত হন। পরে সিদ্ধান্ত হন এ ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে বসা হবে। এরপর মন্দিরের আরতি শেষে দরজা বন্ধ করে পুরোহিত ভিতরে বসে থাকেন। রাত ৯ টার দিকে মন্দিরের দরজা খুলে উপস্থিত লোকজন দেখতে পান ওই সেবাইত কলাপসিবল গেটের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে।

ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেবাইতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।