অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কিশোরীদের সচেতন করতে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস পালন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে মে ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:০১

remove_red_eye

৩০৫

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় কিশোরীদের সচেতন করার লক্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম বারের মতো পালিত হলো বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ২০৩০ সালের মধ্যে "মাসিক"কে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিনত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২৯মে) সকালে সাজেদা ফাউন্ডেশনের ষ্টপ দি ষ্টিগমা প্রজেক্টের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কিশোরী ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহা। সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. বিপ্লব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হামিদ, প্লান ইন্টার ন্যাশনাল বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সাজেদা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) তাহমিনা আক্তার কিশোরীদের মধ্যে বক্তব্য দেন চরসামাইয়া বন্ধুজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমা আক্তার। সভায় বক্তারা বলেন, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইন। প্রতি বছর ২৮মে দিবসটি পালন করা হয়, যাতে বিশ্বব্যাপী মানুষ মাসিক স্বাস্থ্যবিধির সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন হয়। বক্তারা আরো বলেন, ২০২১ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ কিশোরী মাসিকের বিষয়টিকে গোপন রাখছেন। এবং মাসিকের সময়ে অনিরাপদ প্যাড ব্যবহার করছেন। আর এজন্যই প্রতি বছর বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে বড় একটি অংশ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই সকল কিশোরীদের সচেতন করতে বাংলাদেশে প্লান ইন্টার ন্যাশনালের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ প্রজেক্টি বাস্তবায়ন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন। আর এ জন্য ধীরে ধীরে কিশোরীরা এ বিষয়টি সম্পর্কে পুরনো কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আজ তারা তাদের মাসিককালিন সমস্যার কথা আরেক জনের সাথে শেয়ার করতে পারছে। সভা শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের অংশগ্রহনে মাসিককালিন সময়ে বিভিন্ন কুসংস্কার নিয়ে নাটিকা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও মাসিককালিন সময়ে সচেতনতামূলক রচনা প্রতিযোগিতা এবং নৃত্য পরিবেশন করা হয়।দিনব্যাপী আয়োজনে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক, অভিভাবকরা এতে অংশ গ্রহন করেন।