অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


লালমোহনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রকৃত জরিপের নামে রমরমা বাণিজ্য


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০১:৪৯

remove_red_eye

৭০৪



লালমোহন সংবাদদাতা: ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকৃত জরিপ নামে রমরমা বাণিজ্য চলছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন না পেলেও মোটা অংকের ঘুষ মুখ বুঝে দিতে হচ্ছে। কারো কোন প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। করলেই তার প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ পড়ে যাবে এমনও হুমকি রয়েছে।
সূত্রমতে জানা গেছে, লালমোহন উপজেলায় স্বতন্ত্র ২১৯ টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে আরোও ১২টি যুক্ত হয়েছে। এসকল মাদ্রাসার প্রকৃত জরিপ নামে শিক্ষা অফিসের খরচ বাবদ চলমান প্রতিটি মাদ্রাসা থেকে ৮ হতে ১০ হাজার টাকা এবং যে প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিস্ত নেই ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ হতে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসকল টাকা উত্তোলনের নেতৃত্বে দিচ্ছে লালমোহন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেতা মৌলভী মো: নুর ইসলাম।
এব্যাপারে লালমোহন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেতা মৌলভী মো: নুর ইসলাম বলেন, এত টাকা নেই না। অফিসের খরচ বাবদ কোন প্রতিষ্ঠান ৬ হাজার দেয় কেউ ৩ হতে ৪ হাজার টাকা দেয়। আমরা কোন প্রতিষ্ঠান কে বাধ্য করি না। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান সুপারিশ করে কোন টাকা দেন না।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আইয়ুব আলী জানান, টাকা উত্তোলনের বিষয় আমরা কিছুই জানি না। আমরা মাদ্রাসায় গিয়ে জরিপ করে চলে আসি। কেউ কিছু খাওয়াতে চাইলেও খাই না।
এ ব্যাপারে লালমোহন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা কারোও কাছ থেকে ১ টাকাও নেই না। কেউ যদি অফিসের খরচের কথা বলে টাকা উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।