অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে ইউপি উপ-নির্বাচনে জামানত হারালেন চার চেয়ারম্যান প্রার্থী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭শে মে ২০২৩ বিকাল ০৫:২৬

remove_red_eye

৩৮৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতাকারী চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাঁজ জন প্রার্থী অংশগ্রহন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হাই ৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। তার সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করা বাকী চার প্রার্থীর সকলে জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৩৩৫ ভোট, যা মোট বৈধ ভোটের ৪.০৯ শতাংশ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতিকে পেয়েছেন ১৬৬ ভোট, যা মোট বৈধ ভোটের ২.০৩ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লোকমান হোসেন চশমা প্রতিকে পেয়েছেন ৬১ ভোট, যা মোট বৈধ ভোটের ০.৭৪ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফরহাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ৫৬ ভোট, যা মোট বৈধ ভোটের ০.৬৮ শতাংশ।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুরি ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান মারা যান। ২৫ এপ্রিল এ ইউনিয়নে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৫৪ জন। এর মধ্যে উপ-নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮ হাজার ১৭৭ ভোট। যা মোট ভোটারের ৩৪. ৭১ শতাংশ।

তবে বৃহস্পতিবার দিনভর ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একাধিক এজেন্ট থাকলেও অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। তবে দুই একটি কেন্দ্রে আনারস প্রতিকের দুই একজন এজেন্ট দেখা গেলেও তারা ছিলেন নিশ্চুপ। নির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন হাওলাদারকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই এক বার দেখা গেলেও অপর কোনো প্রার্থীকে দেখা যায়নি।

অপর দিকে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার পথে পথে ভোটারদের বাঁধা দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বের করে দেওয়া এবং নৌকার লোকজন বুথে ঢুকে নিজেরা নৌকার বাটনের ওপর টিপ দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেল করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
তবে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোটারগন উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিয়েছে।

নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা ও ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউপি নির্বাচনে জামানত টেকাতে গেলে মোট বৈধ ভোটের আট শতাংশ ভোট পেতে হয়। তবে চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চার প্রার্থীই এটি পুরন করতে পারেনি। তাই তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে এখনো কোনো প্রার্থী অভিযোগ তুলেনি।