অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ধনিয়ায় খালের পানিতে মুরগী খামারের বর্জ্য হুমকীর মুখে কৃষি ও মৎস্য চাষ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০৩:০৮

remove_red_eye

৮৩২




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার ধনিয়ায় কোন নিয়ম-নীতি না মেনে আবাসিক এলাকা এবং কানাই নগর খালের পাড়ে একের পর এক গড়ে উঠছে মুরগীর খামার। আর মুরগীর দুষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ওই খালে। এতে দুষিত হচ্ছে খালের পানি। বিশেষ করে সুষ্ক মৌসুমে খালের পানি কমে যাওয়ায় ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে ওই সব খালের পানি। এতে করে একদিকে মানুষের জীবন যাপনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে খালের পানি ব্যবহার করতে না পারায় কৃষি এবং মৎস্য চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে খালের পানি দূর্ষণ না করার জন্য মুরগির খামারীদের নির্দেশ দেওয়া হলেও কেউ শুনছে না তাদের নির্দেশ।
সরেজমিন দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতলি এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কৃষি ও মৎস্য খামার। কৃষি ও মৎস্য চাষ করে অনেক পরিবার জীবন যাপন করেন। কৃষি ও মৎস্য চাষের উপর জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তুু সম্প্রতি কৃষি জমি ও মৎস্য খামারের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মুরগীর খামার। কোন প্রকার নিময় নীতি না মেনে মুরগীর খামারীরা দূষিত বর্জ্য ফেলছেন রাস্তার পাশের ছোট খালে। খালে বর্জ্য ফেলায় চার দিকের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আশ-পাশের মানুষ তাদের বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছেন না দুর্গন্ধের জন্য। এছাড়াও ওই খালের পানি কমে যাওয়ায় এখন আর ওই পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। খামারীরা প্রভবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
তবে ওই এলাকার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী শফিউল্লাহ মাল জানান, কানাই নগর খালটিকে কেন্দ্র করে তিনি কানাই নগর ও দরিড়াম শংকর প্রায় ১৫ বছর আগে মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। ওই খামারে মাছ চাষ করেই তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তার ৩টি মাছের ঘেরে প্রায় কোটি টাকার মাছ আছে। এদিকে ওই খালের পাড়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। মুরগির খামারিরা পরিবেশ অধিদপ্তরর নিয়ম নীতি না মেনে খালেই তাদের সকল বর্জ্য ফেলছে। শীতের মৌসুমে খালের পানি কমে যাওয়ায় এখন আর ওই পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শফিউল্লাহ মাল আরও জানান, এ বিষয়ে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না। এদিকে বর্তমানে পনি সমস্যার কারণে দৈনিক তার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাছ মারা যাচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অপর দিকে মুরগীর খামারীদের দাবী তারা সুন্দর পরিবেশে খামার পরিচালনা করছেন। এলাকাবসীর সাথে তাদের সু-সম্পর্ক। কারও কোন অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত কারণে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিন আগে পরিবেশ দুষণের দায়ে একটি পোলট্রি খামারের জরিমানা করা হয়েছিল। এরপরও যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।