অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মেঘনা  নদীতে ইলিশের সংকট  জেলে পল্লীতে হাহাকার


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১শে মে ২০২৩ রাত ১০:২১

remove_red_eye

২৭৫

এম নয়ন, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলা তজুমদ্দিন মেঘনায়  উপকূলীয় নদ-নদীতে ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই। জেলেরা নদ-নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন। অথচ এখন ইলিশ মৌসুম। কিন্তু সাগরেও তেমন ইলিশের দেখা নেই। লাখ, লাখ টাকা খরচ করে একটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে ১২ থেকে ১৪ জন জেলে সাগরে গিয়ে প্রায় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। তজুমদ্দিন ফিশিং ট্রলার মালিক   মোঃ আবু সায়েদ  মাঝি আক্ষেপ করে এ কথাগুলো বলছিলেন।
শুধু তিনি নন,তজুমদ্দিন  মৎস্য আড়তদার সিরাজুল ইসলাম  একই কথা জানান। তিনি বলেন, অনেক দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার মালিকরা মোটা অংকের টাকা খরচ করে সাগরে জেলেদের পাঠিয়ে খরচের টাকাও ওঠাতে পারছেন না। ট্রলার মালিক, আড়ৎদার ও জেলেদের এখন না খেয়ে মরার পালা।
 
তিনি বলেন, স্থানীয় নদ-নদীতেও ইলিশ নেই বললেই চলে। ট্রলার মালিকরা ধার-দেনা করতে করতে এখন অসহায়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
তজুমদ্দিন  উপজেলার শশীগঞ্জ, চৌমুহনী, মহেষ খালি, স্লুইস খাল, বাগের খাল ও ধরনীর খাল  জেলে পল্লীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলেরা যেমন কষ্টে দিন পার করছেন তেমনি ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাররাও ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। ফিশিং ট্রলার সাগরে পাঠাতে যে সমস্ত কাচা বাজার (নিত্যপণ্যে দোকান) সরবরাহকারী দোকানদার রয়েছেন জেলেরা মাছ না পাওয়ায় তারাও সমস্যায় পড়েছেন। মেঘনায়  চলতি বছরের বেমৌসুমে (সিজন ছাড়া) কিছু ইলিশ দেখা গেলেও এখন চলতি মৌসুমে ইলিশ নেই বললেই চলে।  এখন আবার ইলিশ মৌসুমে মাছ না থাকায় তাদের যেন মরার ওপর খারার ঘা।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসার আমির হোসেন জানান, মেঘনায় নদীতে  বিভিন্ন পয়েন্টে চর পড়ায় সাগর থেকে মাছ আসা বাঁধাগ্রস্থ  হওয়ায় মেঘনায় ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে । আশাকরি ভারী বৃষ্টি এবং বাতাস হলে মাছের দেখা মিলবে।