অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসার আগেই যা করবেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই মে ২০২৩ বিকাল ০৪:২৭

remove_red_eye

২০২

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানকারী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়েছে। এটি মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আঘাত হানতে পারে।

শুক্রবার (১২ মে) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান সই করা সকাল সাড়ে ৮টার ১০ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ আছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষা পেতে এ সময় সবারই সতর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘূর্ণিঝড় আসার আগে কোন কোন পদক্ষেপ অনুসরণ করবেন-

১. পরিপক্ব ফল ও শাকসবজি দ্রুত সংগ্রহ করুন।

২. ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে ধান কেটে ফেলুন ও নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন।

৩. কলা ও অন্যান্য উদ্যান ফসলের জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।

৪. ভারি বাতাস সহ্য করার জন্য পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

৫. পশুদের সঠিক শেডে রাখুন।

৬. ঘূর্ণিঝড় থেমে না যাওয়া পর্যন্ত গভূর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না।

৭. মাছের ঘের রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করুন।

৮. সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।

সুত্র জাগো

 





আরও...