অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০৩:৪৮

remove_red_eye

৯৫৩


বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশনে প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো এসব কোচিং প্রতিষ্ঠান চলছে অবাধে। কোচিং বন্ধে প্রশাসনের নিরোব ভূমিকায় সঙ্কা দেখা দিয়েছে সচেতন নাগরিক মহলে। এসএসসি পরিক্ষা চলাকালীন সময়েও বন্ধ হয়নি এসব কোচিং বানিজ্য পাশাপাশি স্কুল মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড দিয়ে এসএসসি পরিক্ষার দিক নির্দেশনা দিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। স্কুল কলেজের শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে জরিত না থাকার জন্য সরকারি নীতিমালা থাকা সত্যেও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুলের বিকেল ও সান্ধ্যকালীন ক্লাসসহ নামে বেনামের কোচিং সেন্টারে চলছে স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নিষোধাজ্ঞা  থাকার পরেও আইন অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় ট্যালেন্ট কেয়ার কোচিং, চরফ্যাশন সদর রোডে অনুশীলন কোচিং,বিআরডিবি মোড় লার্নাস জোন প্রি ক্যাডেট স্কুল এন্ড কোচিং, পৌর ৪নং ওয়ার্ড গ্রীন ভিলা সংলগ্ন ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কোচিং, সাগরী সিনেমা হল ( টুনু চৌধুরী মেমেরীয়াল ডায়গনস্টিক) সঙলগ্ন প্রত্যাশা কোচিং,বৃক্ষতলা আইডিয়াল কোচিং, আমিন বাড়ি সংলগ্ন মকবুল খান সড়কে ইসলামিয়া একাডেমী,শামিম মেমোরীয়াল স্কুল সংলগ্ন প্রভাতি কোচিং,এতিম খানা ও হাসপাতাল সংলগ্ন গেøারিয়াস একাডেমী,মাতৃছায়া বিদ্যানিকেতনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেনামী প্রতিষ্ঠানে চলছে কোচিং বানিজ্য। পাশাপাশি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডে নাইট পাঠদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও একাধিক সূত্রে জানা যায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নয়া কৌশলে প্রশাসনের দৃষ্টি ফাকি দিয়ে ট্যালেন্ট কেয়ার কোচিং সেন্টারের অংশিদার শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিমের বাসায় (ভান্ডারির পোল সংলগ্ন) শিক্ষার্থীদের কোচিং পাঠদান চালাচ্ছে। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট প্রতিনিধির কাছে ভিডিও রেকর্ড রয়েছে। নিষেধ প্রশাসন কর্তৃক পরেও কেনো কোচিং বানিজ্য চালানো হচ্ছে বিষয়ে জানতে এ প্রতিষ্ঠানের অংশিদার ও কচুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওই কোচিং সেন্টারের দাযিত্বে থাকা এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) বলেন, বিদ্যালয়ে পড়ালেখা কম হচ্ছে বলেই আমরা শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছি এবং আমরা যদি এ মুহুর্তে কোচিং বন্ধ করি তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রিরা এলোমেলো হয়ে যাবে তাই বাধ্য হয়ে আমরা বাসা বাড়িতেই কোচিং চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও প্রাইভেট স্কুলগলোর নিজেস্ব কোনোও রেজিস্ট্রেশন না থাকলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে বলেও সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আমরা খোজ নিচ্ছি কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য চলছে। এছাড়াও গেøারিয়াস ও মাতৃছায়ায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হচ্ছে তবে বিষয়টি আমার নজরদারিতে রয়েছে। তবে তথ্য পেলে তাক্ষনিক ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে। প্রাইভেট স্কুল ও তাদের কোচিং বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।